বিডি নীয়ালা নিউজ(৬ই ফেব্রুয়ারী১৬)- ঢাকা প্রতিনিধিঃ ঢাকার ঐতিহ্যের কথা আসলেই মসলিন কাপড়ের নাম সবার আগে আসে। এখন থেকে চার-পাঁচশ বছর আগে ঢাকাই মসলিনের কদর ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।
মসলিনের প্রসঙ্গ উঠলে তার সাথে অনেক গল্পও সামনে আসে। জনশ্রুতি আছে যে একটি মসলিন শাড়িকে দিয়াশলাইয়ের বাক্সে রাখা সম্ভব। যদিও এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ মেলেনা।
দিয়াশলাইয়ের বাক্সে রাখা সম্ভব না হলেও, মসলিনের কাপড়ের সূক্ষ্মতা এবং হালকা আরামদায়কভাব নিয়ে কোন বিতর্ক নেই।
এই মসলিন বিলুপ্ত হয়ছে আজ থেকে অন্তত তিনশ বছর আগে। বিলুপ্ত এই মসলিনকে আবার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ঢাকায় মাসব্যাপী মসলিন উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার। দৃক গ্যালারি , আড়ং এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই মাসব্যাপী উৎসব।
শতশত বছরের পুরনো এই কাপড়কে আয়োজকরা কেন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন?
মসলিন বিষয়ে গবেষক এবং দৃক গ্যালারির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মনে করেন মসলিন শুধু একটি কাপড় নয়, এটিকে দেখতে হবে ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে।
মি: ইসলাম বলেন , “আমরা তো রোজ মোটা চালের ভাত খাই। তাই বলে আমরা তো বাসমতি ফেলে দেইনি। সে হিসেবে একটি স্পেশাল জিনিস ফেলে দেওয়া উচিত না।”
মসলিনের অংশ হিসেবে এখনো পর্যন্ত টিঁকে আছে জামদানী শাড়ি।
মসলিনের দাপট এক সময় ইউরোপের বাজারে থাকলেও, ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের পরে মসলিন আর টিঁকে থাকতে পারেনি। কারণ ইউরোপ জুড়ে তখন বস্ত্রশিল্প প্রসার লাভ করায় মসলিন বাজার হারিয়েছিল। তাছাড়া যে তুলা থেকে মসলিনের সুতা উৎপাদন হতো, সেই তুলার বীজও এখন আর নেই।
উৎসবে আসা একজন কারিগর জানালেন আগের মসলিনে হয়তো পুরোপুরি যাওয়া সম্ভব না হলেও কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব।
এই উৎসব দেখতে অনেক দর্শক এসেছিলেন উৎসবস্থল জাতীয় জাদুঘরে।