Smart-252520watch-25255B5-25255D5

বিডি নীয়ালা নিউজ(২জানুয়ারি১৬)- নিজস্ব প্রতিবেদনঃ  টঙ্গীর তুরাগ নদীর  তীরে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে ইজতেমা ময়দানের চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পবিত্র হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় সমাবেশে দেশ-বিদেশের লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন।

এবারের দু’পর্বের ছয়দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের তিনদিনের ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। দু’পর্বেই পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। প্রথম পর্বের ১০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্বের ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত।  প্রথম পর্বের তিনদিনের ইজতেমায় বয়ান ও আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পর ইজতেমা ময়দানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা অপসারণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি এ চারদিনের বিরতি থাকবে।  এবারের ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের জন্য বাঁশের খুঁটি পুতে চটের ছাউনি দেয়া হয়েছে।

এবারের দু’পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ৪ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক পিপিএম সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএম (বার)। ইজতমো ময়দান সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, টঙ্গীর তুরাগের তীরে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে ইজতেমা ময়দানের চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। আর এ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ঢাকার কাকরাইলসহ বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়াও তাবলিগের কাজে নিয়োজিত মুসল্লিরা ময়দানের প্যান্ডেল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। প্রায় ৫ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কাজ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে করা হচ্ছে।  ইজতেমার আয়োজক ও মাঠের প্রস্তুতি কাজে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন মুসল্লি জানান, ১৬০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানে বাঁশ ও চটের তৈরি সামিয়ানা টানাতে প্রতিদিন তাবলিগের ৩-৪শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। তারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলবেঁধে এসে স্বেচ্ছায় এ কাজে অংশ নিচ্ছেন।  আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে ইজতেমার সকল প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করছেন ইজতেমার আয়োজকরা।

হারুন অর রশীদ পিপিএম (বার) জানান, ইজতেমার মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবে। পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাবের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা মনিটরিং করা হবে। নিরাপত্তায় বাইনোকোলার, মেটাল ডিটেকটর, কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হবে। এছাড়া ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম জানান, দু’পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় করা হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে