12630914_944667888958392_1226183295_o

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৬জানুয়ারি১৬)- ঢাকা প্রতিনিধিঃ আদিকাল থেকেই বাংলায় হেমন্ত ঋতুতে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল উঠলে আয়োজন করা হত পিঠা উৎসব। এই ধারাবাহিকতা চলত শীতকাল পর্যন্ত। এই পিঠা বাংলাদেশের সংষ্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের যে কোন উৎসবে আনন্দে মিশে আছে রকমারি পিঠা।

এরই ধারাবাহিকতায় আই ইউ বি এ টি- তে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলছে পিঠা উৎসব।
তবে শীতের সাথেই পিঠার সম্পর্ক নিবির। খেজুরের রস শীতের পিঠা খাওয়ার মজা আরো বাড়িয়ে দেয়।  তবে নানা রকম বিদেশি খাবারের প্রাচুর্য্যের কারণে নতুন প্রজন্মের শহুরে নাগরিকরা অনেকেই অনেক পিঠা চেনে না বা এর আসল স্বাদ পায় না। বিশেষ করে প্রবাসে বেড়ে উঠা দ্বিতীয় প্রজন্মের কাছে এই পিঠা অনেকটাই অধরা। বাংলার ঐতিহ্যকে সামনে রেখে তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই পিঠা উৎসবার আয়োজন করেছ।

বাংলাদেশে ১৫০ বা তারও বেশী রকমের পিঠা থাকলেও মোটামুটি ৩০ প্রকারের পিঠার প্রচলন সবচেয়ে বেশি।  নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, ঝুড়ি পিঠা – এমনি আরও কত নাম!

২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ইং রোজ: মঙ্গলবার আই ইউ বি এ টি- এর অডিটোরিয়ামে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় এই পিঠা উৎসবের উদ্ভোধন করেন আই ইউ বি এ টি এর ভিসি প্রফেসর ডা. আলিমুল্লাহ মিয়ান। উক্ত উৎসবে মোট ২০ টি স্টল আংশগ্রহন করে। সবগুলো স্টলেই ছিল বাহারি রকমের পিঠা তার মধ্যে- গোলাপ পিঠা, ফুল পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ঝালপুয়া পিঠা, ক্ষিসাপুলি, লবংগ পিঠা,মুগ পাক্কান পিঠা,সাজ পিঠা, নোলেন গুড়ের পায়েস, বিবি খানা পিঠা,চালতা ফুল, মুগ পাক্কন পিঠা উল্লেখযোগ্য। প্রায় ৫০ রকমের আধিক পিঠা ছিল উৎসবে। পিঠা উৎসবের আর্থায়নে ছিল ঢাকা সলিউসন, স্টিল টাস্ক লি:, এক্সিন গ্রুপ, ক্যাড কোর। সকাল ১১.০০ টা থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব চলবে বিকাল ৫.৩০ পর্যন্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে