বিডি নীয়ালা নিউজ(২৭ই মার্চ১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন(নীলফামারী প্রতিনিধি): নীলফামারীতে যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে শনিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছ।
দিবসের সূচনায় রাত ১২টা ১মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লানে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। রাস্ট্রের পক্ষে সর্বপ্রথম পুস্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন।
এরপর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাড মমতাজুল হক,পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী বেসরকারী ভবন সমুহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় নীলফামারী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রজনীগন্ধা দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সুখের পায়রা কবুতর ও স্বাধীনতার শ্লোগানের বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে দেয়া হয়। কুচকাওয়াজে শেষে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিার্থীরা ডিসপে প্রর্দশন করে। ওই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিার্থীদের ক্রীড়ানুষ্ঠান।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন, জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা সহ ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ছাড়াও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলে নীলফামারীর সকল মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডঃ মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী, জেলা কমান্ডার ফজলুল হক, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ জোনাব আলী, সাবেক যুগ্ন সচিব আমিনুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্মানী হিসাবে ক্রেষ্ট ,চেক ও বস্ত্র বিতরণ এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকালে সরকারি মহিলা কলেজে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীতা এবং বড় মাঠে প্রীতি ফুটবল,হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয় দিনের অন্যান্য কর্মসুচীতে। সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশ করেন শিল্প একাডেমীর শিল্পবৃন্দ।