মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে এক ভদ্রবেশী নিকৃষ্ট প্রতারক।

ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গদা উচাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস উরফে( কুদ্দুস বানিয়ার) মেয়ে শরীফা আক্তারের সাথে। তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে বিভিন্ন ভাবে প্রেমেরর ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কু-প্রস্তাব দেয়, তাতে রাজী না হওয়ায় পড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জলঢাকা উপজেলায় ভুয়া বিয়ে অনুষ্টান করে ৭ লাখ ১ শত ১ টাকা দেনমোহরানা ধার্য করে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে। শরীফা আক্তারকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় ৩ নং নিতাই ইউনিয়নের ফরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত মফেল উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবুল এ জঘন্য কাজটি করেছেন। আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি হাবিবুর রহমান তখন শরীফা তার পূর্বের স্বামীর সম্পত্তির ২১ লাখ টাকার হিসাব চাইলে, হাবিবুর রহমান তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারঢাং করে বাড়ী থেকে শরীফা আক্তারকে বের করে দেয়। আর বলে যা তোর সাথে আমার কোন বিয়ে হয়নি সবই নাটক কি করবি কর দেখি।

শরীফা আক্তার উপায় অন্তর না পেয়ে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে তার টাকা উদ্ধারের জন্য কিশোরগঞ্জ থানায় এজহার করতে গেলে তার এজহার গ্রহণ করেনি কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ পরে তিনি বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল নীলফামারী আদালতের আশ্রয় নেন।

এজহার সূত্রে জানা যায়, শরীফা আক্তারের স্বামী মারা গেছে তার একটি পুত্র ও মেয়ে সন্তান আছে ও হাবিবুর রহমানের এক স্ত্রী মারা গেছে অন্য জনকেও শরীফার মত তালাক দেয়। শরীফা আক্তার তার তৃতীয় স্ত্রী বলা যায়। হাবিবুর রহমান হাবুল একজন চ্যৌকশ ব্যাক্তি শরীফাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা বিয়ের নাটক করে বাড়ীতে নিয়ে যায় ও দিনের পর দিন ধর্ষণ করে।

ঘটনাটি বাইর জানাজানি হলে ভদ্রবেশী হাবিবুর রহমানের সম্মানের ক্ষতি হবে ভেবে শরীফা আক্তারকে আবারো ভুল বুঝিয়ে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়, নীলফামারীতে নিয়ে যায় গত ২২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে এবং সেখানে একটি অংশীদারীত্ব চুক্তিপত্র করেন। সেখানে ১ম পক্ষ হাবিবুর রহমান, তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৯২-১৫৯-৩৭৫০ ও ২য় পক্ষ শরীফা আক্তার তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৭৭৭-০৮৪-০৬৪৮ উল্লেখ্য করে উভয় পক্ষ ৫০% হারে দাবিদার হন। এবং সেখানে তিনি শরীফা আক্তারকে স্ত্রী হিসাবে দাবী করে এ চুক্তিপত্র করেন।

গত ২৬ জুন ২০১৯ ইং তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং বিধি নীতি বিভাগের পত্র নং- বি আর পি ডি/ ৭৪৫-(১৪)২০১৯-৪৭৬৬ এর প্রেক্ষিতে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় মেসার্স হাবিব রাইচ মিল এন্ড চাতালকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ইউনিট হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এবং সেখানে সুস্পষ্টভাবে উভয় পক্ষের সমান অংশীদারীত্ব রয়েছে বলে এফিডেভিড করেন। এটা শুধু লোক দেখানো মাত্র। এখন পর্যন্ত একটি কানাকরিও পায়নি শরীফা আক্তার।

শরীফা আক্তার একদিকে স্বামীকে হারিয়ে বুকে যন্ত্রনা নিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে সমাজের ভদ্রবেশী মানুষকে বিশ্বাস করে এখন পথের ভিখারী হয়ে আছেন আর সকলের দ্বারে দ্বারে বিচারের জন্য ঘুরে বেরাচ্ছেন। শরীফা আক্তারের ছেলে ও মেয়ে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে