মোঃ আমজাদ হোসেন: বর্তমানে দেশের বৈরী তাপমাত্রা যখন ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ০৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৈরী তাপমাত্রার কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারতেছে না, এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকার পরও জয়পুরহাটের কৃষি বিভাগ তখন ব্যস্ত সময় পার করতেছে কৃষকদের মাঠে। সজিনা ডাটা সংগ্রহ করার পরে বর্তমান সময়টা সজিনার ডাল রোপনের উপযুক্ত সময় তাই তারা কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এটি জোরদার করনে কাজ করে যাচ্ছেন জয়পুরহাটের বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।
সজিনা এমন একটি গাছ যার পাতা, ফুল,শিকড়, বাকল,শুটি বীজ,কন্দসহ সকল অংশ গুরুত্বপূর্ণকাজে ব্যবহৃত হয়। যার কারনে এটি অত্যাশ্চার্য বৃক্ষ হিসেবে আদি যুগ থেকেই গ্রাম বাংলা মানুষের কাছে পরিচিত ।একই সাথে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুন ও ঔষধিগুন থাকায় সজিনা কে "পুষ্টির ডিনামাইট" হিসেবে কেউ কেউ আখ্যায়িত করেছেন।এতে প্রচুর পরিমাণে অত্যাবশকীয় অ্যামাইনো এসিড ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এটিতে দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, দুইগুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে দুইগুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে চার গুণ বেশি পটাশিয়াম রয়েছে।ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা,প্রদাহ সহ বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিনের ঘাটতি জনিত রোগ প্রতিরোধক এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় মহা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এটিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রখর রৌদ্রে কৃষকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ভাদশা ইউনিয়নের হরিপুর ব্লকে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন কৃষিবিদ জনাব মোঃ আল মামুন অর রশিদ কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, জয়পুরহাট সদর। তিনি বলেন প্রতি ইঞ্চি জায়গা আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে আমাদের এমন কর্মসূচী চলমান থাকবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, অত্র ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার জনাব মোঃ ইনসান আলী ও মোঃ ইমতিয়াজ সাকিব সহ অর্ধশতাধিক কৃষক কৃষাণী। অত্র ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ ইনসান আলী বলেন এটির জন্য আলাদা কোন জায়গার প্রয়োজন হয়না এবং বাড়তি কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না । পুরাতন গাছের ডাল কেটে বাড়ির আশেপাশে পতিত জায়গায়, রাস্তা, পুকুর এবং বাঁধের আশে পাশে রোপনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং সেভাবেই রোপন কাজ এগিয়ে চলছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফসিয়া জাহান বলেন সজিনা গুরুত্বপূর্ণ ও সুস্বাদু একটি সবজি এটি এখন সারাবছর পাওয়া যাচ্ছে। এটি এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে।সজিনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এটির সম্প্রসারণ ও পরিচর্যার জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।