শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।  

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সমকাল পত্রিকা আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা জানান।

ঢাকার স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্র স্বল্পতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারছে না- এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা গতকালই আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী খুব দ্রুততম সময়ে আমরাই নির্ধারিত স্কুলগুলোতে গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেব।  

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১ কোটি ডোজ টিকা কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ডোজ হাতে এসে পৌঁছেছে। এ মাসেই আরও প্রায় চার কোটি ডোজ চলে আসবে। প্রায় আট কোটি ডোজ টিকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। চার কোটি মানুষ ডাবল ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন।  

তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও নিয়মিত টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফাইজারের টিকা ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে রাখতে হয়। এজন্য সব স্কুলে ফাইজার টিকা রাখতে না পারায় কেন্দ্র সংখ্যা কম। সামনের মাসগুলোতে প্রতি মাসে তিন থেকে চার কোটি ডোজ টিকা মানুষকে দেওয়া হবে। এভাবে চললে আমরা দ্রুতই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারবো।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। আর এ কৃতিত্ব দেশের সব মানুষের। বিশ্বের অনেক দেশই এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে হিমশিম খাচ্ছে। রাশিয়ায় দিনে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন অনেক নিরাপদ আছে। এর কারণ অনেক। হাসপাতালে সঠিকভাবে করোনার চিকিৎসা দেওয়া, সরকারের অতি দ্রুত টিকা ব্যবস্থা করা ও সেটি মানুষকে দেওয়া অন্যতম।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে