জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ দ্রুততম সময়ে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান ও হাতের স্পর্স ছাড়াই কলা খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তু। সে নীলফামারী সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সণের দশম শ্রেণির ছাত্র। নাফিস ইসতে অন্তু উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলী ও নাসমুন নাহার দম্পতির বড় সন্তান।

সূত্র মতে, মহামারী করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা জাগে অন্তুর। প্রথমে স্টাপলারের পিন বের করে চেন তৈরি করে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করে সে। পরে দ্রুততম সময়ে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান ও হাতের স্পর্স ছাড়াই কলা খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ে অন্তু।
গত বছরের ১৩ এপ্রিল গিনেস ওয়ার্ল্ডে আবেদন করে অন্তু। ৪ মে গিনেস কর্তৃপক্ষ অন্তুর আবেদন গ্রহণ করে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক দ্রুততম পরিধানের অনুমতি দেয়। অবশেষে ১৪ জুলাই দীর্ঘদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭.৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি মাস্ক পরে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ে অন্তু। ৬ নভেম্বর রাতে গিনেস ওয়ার্ল্ডের বার্তা এসেছে অন্তুর সফলতার।

একই তারিখে হাতের ব্যবহার ছাড়াই একটি কলা মুখ দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭.৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙেছে ৩০.৭ সেকেন্ডে। এর ফল স্বরুপ অন্তু ১৯ ডিসেম্বর হাতে পেয়েছে গিনেস ওয়াল্ডের দুটি সনদপত্র। অল্প বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ায় আনন্দিত অন্তুর পরিবার ও বিদ্যালয়ের সহপাঠীসহ শিক্ষকমণ্ডলী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে