সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার :সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালি ও শাহজাদপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অব্যহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে বন্যায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৫হাজার ৮৭৭ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

এর মধ্যে আউশ ধান, পাট, সব্জিও আমন বীজ তলা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান এখন পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধে কোন ঝুকি নেই। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত এবং বৃষ্টি অব্যহত থাকলে ঝুকি আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা বুধবার রাতে তার কার্যালয়ে সাংবাদিক ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের নিয়ে জরুরী সভা করেন। সভায় জেলার বন্যার সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তিনি বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও গ্রামাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার প্রভাব তেমন পরেনি।

তারপরেও বন্যাকবলিত হিসেবে চিন্থিত করে জেলার (সদর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি ও কাজীপুর) এই পাঁচটি উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে ১০৪টন মে.টন চাউল, নগদ ৩লাখ ৩৫ হাজার টাকা গতকাল বুধবার পর্যন্ত বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণ মজুদ রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সবধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ করে সদ্য নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রন বিকল্প বাধের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে