বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য যে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন, এজন্য তার বিচার হওয়া দরকার। একই সঙ্গে দেশকে সাহায্য বন্ধের জন্য চিঠি লিখেছেন- এটা ইউরোপের কোনো দেশ হলে তার নামে মামলা হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার  মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন, তার বিচার হত। আমি নিজেও মনে করি, দেশের বিরুদ্ধে তিনি যে চিঠি দিয়েছেন, সাহায্য বন্ধের জন্য লিখেছেন, এজন্য তার বিচার হওয়া দরকার, বিএনপিরও বিচার দরকার। বিএনপি সবকিছু নেগেট করার যে পদ্ধতি বেছে নিয়েছে সেটিই তারা অব্যাহত রেখেছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পানি ঘোলা করে কোনো কিছু করা যায় কিনা সেটাই তারা করে যাচ্ছেন।

বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ইমেজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অর্থাৎ বিদেশের কাছে দেশকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। যখন আমরা এ অভিযোগ উপস্থাপন করলাম প্রথমে বিএনপি অস্বীকার করেছে। এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বললেন যে তিনি কোনো চিঠি দেননি। পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুলের সই করা চিঠি উপস্থাপন করলাম, সেখানে তিনি বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধের কথা বলেছেন, সেটি যখন আমরা উপস্থাপন করলাম, একই সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগের দলিল যখন আমরা উপস্থাপন করলাম তখন তারা চুপ হয়ে গেলেন। তারা চুপসে গেলেন। কারণ তাদের জবাব নেই। তাদের অপকর্ম যখন দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপিত হল, তখন তাদের কাছে কোনো জবাব নেই। সে জন্য এখন তারা নানা প্রশ্ন উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য। নানা কথা বলবে এটা খুবই স্বাভাবিক।

সরকারের লবিস্ট নিয়োগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের পক্ষ থেকে রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে, আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এটি কেন করা হয়? এগুলো করার জন্যইতো রফতানি বেড়েছে। কোভিডের মধ্যেও রফতানি বাড়ছে। এগুলোতো এমনি এমনি হয়নি। রফতানি বাড়াতে নানা জায়গায় লবিং করা হচ্ছে দেখেই তো এটা হচ্ছে। এগুলো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। এগুলো সরকারি চুক্তি, এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।

সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হা বলেন, আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে দু’জন বাদে সবাই সাংবিধানিক পদধারী। যখনই সার্চ কমিটি হবে ভবিষ্যতেও নির্বাচন কমিশনের জন্য তখনও এই সাংবিধানিক পদধারীরা দায়িত্ব পালন করবেন। তারা সাংবিধানিক পদধারী, সরকারের কোনো পদধারী নয়। রাষ্ট্রপতিও তাদের সরাতে পারবেন না। সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। দু’জন সিভিল সোসাইটির সদস্য নেওয়া হয়েছে। তারা দু’জনই অত্যন্ত নিরপক্ষে এবং সমাজে শ্রদ্ধেয় হিসেবে পরিচিত। এই সার্চ কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় তিনি বলেন, সবকিছুতেই যখন না বলার যে বাতিক এটি থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। নির্বাচন কখনেও সরকারে অধীনে অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনের সময় সরকার একজন কনস্টেবলও বদলি করতে পারেন না। তখন সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়ে যায়। মূল কথা হচ্ছে, বিএনপির তো সরকারের প্রতি কোনো আস্থা নেই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যেভাবে টিকা কার্যক্রম করেছেন, মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। মানুষকে খুঁজে খুঁজে টিকা দিচ্ছেন। এই কার্যক্রমটি মানুষ ভাবতেও পারেনি।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে