নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মকবুল হোসেন সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর গড়ে তুলেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এলাকার সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, এতিমখানা এবং মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থেকেছেন। এছাড়াও তিনি মসজিদ, বাজার ও রাস্তাঘাট নির্মাণ, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান থেকে শুরু করে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন, যা অত্র এলাকার মানুষের নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) মকবুল হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। তিনি দলের প্রতিটি দুঃসময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথমসারির কর্মী, একজন সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মকবুল হোসেন ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন। নানা নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে সেই আদর্শ ধারণ করেই দলের বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকা একসময় ছিল সন্ত্রাস-মাদকের স্বর্গরাজ্য। সেই এলাকার জন্য নির্ধারিত ঢাকা-১ আসন থেকে তিনি ১৯৯৬ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রয়াত এই কর্মবীর, সমাজকর্মী, রাজনীতিককে তার সৎ ও পূণ্য কর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন এই প্রার্থনা করি। আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। সেই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

মকবুল হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৪ মে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে