04-1-copy

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৪জানুয়ারি১৬)- ফ্যাশন ও স্টাইল প্রতিবেদনঃ শীতের পোশাক যেহেতু রেগুলার পোশাক নয়, তাই শীতের শেষে পোশাকগুলো যত্নে রাখাটা জরুরি। শীত মানেই নানা রকম গরম পোশাকের সম্ভার। যদিও আমাদের দেশে শীতের প্রকোপ কখনো কম আবার কখনো বেশি থাকে৷ তবে প্রতি বছর বাহারি পোশাকের লোভে পড়ে আমাদের ওয়ারড্রবে যোগ হয় নতুন নতুন কালেকশন। তবে এগুলো যত্ন করে রাখতে পারলে পরের বছরগুলোতেও অনায়াসেই পরা যায়। এসব কাপড়ের প্রকৃতিভেদে আছে যত্নের ভিন্নতা। আপনার পোশাকের ভিন্নতার ধরন বুঝে যত্ন নিতে, চলুন জেনে নেওয়া যাক এইসব পোশাকগুলো ভালো রাখার কিছু কৌশল।

১৷ শীতের জামা কাপড় ভাল রাখতে হলে টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়ে রাখবেন এবং এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে কম বাতাস ঢোকে।

২৷ শীতের কাপড় ধোয়ার জন্য কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। উলের কাপড় ধোয়ার সময় কখনই তা ব্রাশ দিয়ে ঘষবেন না। এতে কাপড় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩৷ উলের পোশাক পরে হেয়ার-স্প্রে, মেকআপ, পারফিউম লাগাবেন না। বাজে দাগ হয়ে যেতে পারে।

৪৷ উলের পোশাকে দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনে না ধুয়ে ঠাণ্ডা জলে অল্প সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। তবে ওয়াশিং মেশিনে পরিষ্কার করতে হলে জেন্টল বা নরম্যাল মুডে ধোবেন৷

৫৷ মাঝে মাঝে শীতের কাপড় রোদে রাখুন। এতে পোকামাকড় কম হবে। আর দীর্ঘদিন আলমারিতে থাকার ফলে কাপড়ে যে গন্ধ হয় তাও কমে যায়।

৬৷ পশমের কাপড়ে রং ওঠার আশঙ্কা থাকলে তা জলের মধ্যে রিঠা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় জলে সাদা কাপড়ের বেলায় লেবুর রস এবং রঙিন কাপড়ের বেলায় ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এতে কাপড়ের উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে।

৭৷ উল বা পশমের কাপড় এক ঘণ্টার বেশি সময় জলে ভিজিয়ে না রাখাই ভালো। উল বা পশমের কাপড় কখনোই কড়া রোদে শুকাতে দেবেন না। হাতমোজা ও মাফলার ধোয়ার সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

৮৷ শীতের কাপড় প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে আলমারিতে রাখুন। পোশাকের পাশে ন্যাপথালিন দিয়ে রাখুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে