ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সঙ্গে শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, পরিকল্পিত পরিবার ও মানসম্পন্ন জাতি গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার।তিনি বলেন, যথাযথ শিক্ষাই সবচেয়ে বড় জন্মনিরোধকের ভূমিকা পালন করতে পারে। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই বাল্য বিয়ের কুফল ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক পাঠক্রম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।ড. আরেফিন সিদ্দিক মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ আয়োজিত ‘ ফ্যামিলি প্লানিং: এমপাওয়ারিং পিপুল, ডেভলপিং নেশনস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: আমিনুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের প্রভাষক নুশরাত জাফরিন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, প্রতিবছর দেশে ৫০ লাখ বাল্যবিয়ে হয়ে থাকে। এর ফলে জনসংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যথাযথ শিক্ষার অভাবেই সমাজে বাল্য বিয়ের হার বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষিত পরিবারে বাল্য বিয়ের হার অনেক কম। শুধু জন্মনিয়ন্ত্রন সামগ্রী বিতরণ করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো সম্ভব নয়। এজন্য ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে জনসংখ্যা কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এক্ষেত্রে সফলতা অর্জন সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ‘ফ্যামিলি প্লানিং : এমপাওয়ারিং পিপুল, ডেভলপিং নেশনস’ শীর্ষক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।

বি/এস/এস/এস


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে