জি, এম স্বপ্না, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঋতুরাজ বসন্তে আনন্দ ভ্রমন করলো সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক পরিবার। গত ০৫ মার্চ হতে ১০ মার্চ পযন্ত ৬দিন ব্যাপি স্বপরিবারে অতি আনন্দের মাধ্যমে দিনগুলো অতিবাহিত করেন তারা।

আনন্দ ভ্রমনের স্পট ছিলো কক্সবাজার,সেন্টমার্টিন বান্দরবান সহ অনেক দর্শনীয় স্থান।গত শনিবার রওনা হয়ে রবিবার ভোর বেলা এসে পৌছে ভ্রমন স্পট কক্সবাজার। কলাতলী পূর্বনির্ধারিত হোটেল কক্সভিউ এ এসে তারা মাল ছামানা রেখে ফ্রেশ হয়ে মধ্যহ্নভোজ শেষ করে শুরু করেন ভ্রমণ। স্পীড বোটে করে বিশাল নদী পথ পাড়ি দিয়ে মহেশখালী পৌছে প্রাচীন কালের আদনান মন্দির, ঝাউবাগান,লবন তৈরি স্পট সহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্পট।

সন্ধায় ফিরে আসেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সুগন্ধা স্পটে। সবাই সাগরে অপরুপ সৌন্দর্য লীলা ঢেউ আর কলতানি দেখা শুরু করেন। পরদিন সকাল বেলা সকলে মিলে সাগরের পানিতে গোসল করতে বেরিয়ে সাগরের ঢেউয়ে মনকে শিক্ত করেন। গোসল শেষে হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিয়ে শুরু হয় মিনি বান্দরবান,হিমছড়ি,ইনানি পাথরকন্যায় ভ্রমণ।

সিএনজি যোগে দুরের পথে যেতে দেখেন রাস্তার দু’পাশের নয়নাভিরাম দৃশ্য। প্রকৃতির অপরুপ লীলা পাহাড় যেন মন কেড়ে নেয়। এভাবে চলতে থাকে তাদের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্পটে ভ্রমণ। সন্ধায় রুমে ফিরে বার্মিজ মার্কেট ও বড় বাজারে গিয়ে শুটকি মাছ সহ সাধ্যমতো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনা কাটাও করেন তারা। পরদিন আবার রওনা হয় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে। ভোর পাঁচটায় হোটেল কক্সভিউ ত্যাগ করে গাড়িতে রওনা হয় টেকনাফের দিকে।

রামু,উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প দেখে টেকনাফ গিয়ে নয়টায় গাড়ি থামে। নাস্তা শেষে আবার সাগর জাহাজে সাড়ে নয়টায় রওনা দিয়ে বেলা এক টায় সেন্টমার্টিন দ্বিপে পৌছেন। হোটেল বুকিং দিয়ে একদিন ঘোরাঘুরি করে পরদিন আবার বেলা একটায় জাহাজে চড়ে ফেরেন। সন্ধার দিকে টেকনাফ পৌছে। ৮-৯ টি জাহাজে পিকনিকের দল ফিরে এসেছে অসংখ্য। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো পর্যটকদের বাস, মাইক্রোবাস,প্রাইভেট কারের বহর।

জমে উঠেছিলো পুরো টেকনাফ। এভাবেই আনন্দ উল্লাসে কেটে যায় তাদের ভ্রমনের ছয়টি দিন। সুস্থ শরীরে সবাই ফিরে আসেন নিজ নিজ নীড়ে। রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সুযোগ্য সভাপতি টি, এম কামরুজ্জামান লাবু ও পরিশ্রমী,ত্যাগী সাধারন সম্পাদক কে, এম রফিকুল ইসলাম রফিক এর অক্লান্ত প্রচেষ্টা,ইচ্ছা, সাধনা,গতানুগতিক ধারা বজায় রাখাসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকদের সমষ্টিগত সহযোগীতাই এবারের আনন্দ ভ্রমণ। সময়ের ব্যাবধানে সবকিছুই বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য,পাহাড়,সাগরের জোয়ার, আর ঢেউসহ চমকপ্রদ ভ্রমণ স্পটের কথা মনের ভিতরে জমা থাকবে চিরকাল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে