আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ  লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের, খোর্দ্দ বিছনদই আদি জামে মসজিদ থেকে মাহাতাব উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জন্টু কামারের বাড়ী হয়ে ছকিন মেম্বারের বাড়ী দিয়ে মাহাতাব উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দুটির বেহাল দশা।

প্রায় দুই কিলোমিটার এই সড়ক দুটি এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টিতে রাস্তার ধস কাঁদা পানিতে চলাচলকারী মানুষকে জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নিয়মিত চরম ভোগান্তীতে পড়ছেন এলাকাবাসী। বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তার করুন অবস্থা দেখার যেনো কেউ নেই। রাস্তাটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে চার গ্রামে হাজার হাজার মানুষের চলাচল।

উত্তর ডাউয়াবাড়ী, দক্ষিণ ডাউয়াবাড়ী , পশ্চিম বিছনদই, খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তা পাকা করার জোর দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই কাঁচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচন্ড এ কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এ রাস্তাটি চার গ্রামের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাস্তাটি পাকা করণে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

কয়েক জন এলাকাবাসী জানায় ৪০ দিনের (ইজিপিপি) মাটি কাটার লোক দিয়ে আমাদের এই রাস্তা মেরামত না করে যে রাস্তা দিয়ে মানুষ চলা চল করে না সেই রাস্তা মেরামত করায় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহাবুবার রহমান মাহাবুব বলেন, আমি মেম্বার হওয়ার পড় থেকে চেয়ারম্যান এর কাছে শুনে আসতেছি যে এ রাস্তার বরাদ্দ হইছে কাজ হবে।

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. মশিউর রহমান বলেন, রাস্তাটির অবস্থা অত্যান্ত বেহাল। আমি আপাতত মাটি দিয়ে মেরামত করার চেষ্টা করছি। ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ আসলে রাস্তাটি চলার উপযোগী করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে