roni-vai

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫ই মার্চ১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ রংপুরে পুলিশ কর্তৃক একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন আলী হায়দার রনি ও আর টিভির ক্যামেরা পারসন আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাংবাদিক সমাজ।

গত বুধবার দুপুরে পেশাগত দ্বায়িত পালনে যাবার সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর একটি ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এ লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকর্মীরা জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পেশাগত কাজে মোটরসাইকেলযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন রনি ও কাশেম। এসময় মোটরসাইকেলটি শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় পৌঁছলে পিবিআই পুলিশের একটি ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে রনির ডান পায়ের অনেকটাই পুড়ে যায় এবং কাশেমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হওয়াসহ মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচরে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভ্যানে থাকা পিবিআই প্রধানের দেহরক্ষি পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল মতিন গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আহত রনি ও কাশেমকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মরধর শুরু করেন।

এসময় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠলে তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্য আব্দুল মতিন। পরে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ায় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত রনি ও কাশেমকে উদ্ধারের পর প্রেসক্লাব চত্বরে সমবেত হয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি যান চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মতিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে যান পিবিআই রংপুর ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম।

পরে পিবিআই রংপুর ইউনিটের প্রধান আব্দুস সালাম দোষী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠে।

এ ঘটনায় আহত রনি ও কাশেমকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে