সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকারঃউজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধ অভ্যান্তরে এবং চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ঘন্টায় ৩০ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই নদী তীরবর্তীসহ চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় উঠতি ফসল ডুবে গেছে। কোন কোন চরের নীচু এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে বলে জানা গেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানি প্রবেশ করায় যমুনার তীরবর্তী কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও সদর উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২০০৭ সালে ভেঙে যাওয়ার পর তা আর সংস্কার না করায় ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে রাণীগ্রাম, গুনেরগাঁতী, ও খোকশাবাড়ী এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

এসব এলাকার বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু নিয়ে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ যমুনা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ৩০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রাক্ষ্রপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শুভগাছা ইউনিয়নের টুটুলের মোড় পয়েন্ট কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে বালির বস্তা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

এছাড়া, বাধের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য টাংগাইলের ঘাটাইল সেনানীবাসের একটি প্রকৌশলী দল শনিবার বাধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যেকোন ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি উলে¬খ করেন। জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য শুক্রবার থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে ২লাখ টাকা ও ১শ’টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে