কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)॥ থেকে,মোঃ কাওছর হামিদ :নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম বাসস্টান্ড ও ঈদগাঁ সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে মনমুগ্ধকর জায়গায় অবস্থিত ‘গাড়াগ্রাম প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্র্তৃক স্মারক নং- ৪১৮/১৭। আল-ক্বুরআন প্রচার সংস্থা (আকপও) বাংলাদেশ কর্তৃক নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং – ০৫/১৫ইং। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোছাঃ কাজুলী বেগম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ৬ প্রকারের প্রতিবন্ধী কে শিক্ষা দেওয়া হয়। বুদ্ধী প্রতিবন্ধী, বাক প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেলিব্রাল পালসি, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধি, শারিরীক প্রতিবন্ধি। ছাত্র- ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩ শত জন,এলাকার প্রতিবন্ধী ছাড়া ও বাইরের ইউনিযন থেকে ও প্রতিবন্ধীরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। কর্মচারীসহ শিক্ষক স্টাফ ৩০ জন এর মধ্যে পুরুষ-১৬, মহিলা- ১৪ জন।

বিদ্যালয়ের মোট জমি ২২ শতক। শ্রেণী কক্ষ ৬টি স্টোর রুম- ১টি, ভ্যান গাড়ী ২টি, পানির লাইন, স্যানিটেশনের সুব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, খেলা-ধুলার সরঞ্জামসহ দৃৃষ্টি প্রতিবন্ধীর শিক্ষার জন্য রয়েছে বেইলিং পদ্ধতি। বাক প্রতিবন্ধির শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩ জন শিক্ষক রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সাথে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার দিয়ে প্রতিমাসে মাসে একবার করে প্রতিবন্ধীদের জন্য স্বাস্থ্য কাম্প করবেন এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে দুপুরের লাঞ্চের ব্যবস্থা রয়েছে,যা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোছাঃ কাজুলী বেগমের নিজস্ব অর্থায়নে চলছে। বিদ্যালয়ের বারান্ধায় একটি দানবাক্স রয়েছে এতে যে কেউ শরীক হতে পারেন বলে জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে