ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের মৎস্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্য-আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে মৎস্যসম্পদ উন্নয়নসহ জনহিতকর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে অপার সম্ভাবনাময় মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান ও গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যবিমোচনসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মৎস্যসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাছের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এককালে বাঙালির পরিচয় ছিল ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাছের চাহিদাও বাড়ছে। মাছের আন্তর্জাতিক বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদের যথাযথ সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও পরিকল্পিত উপায়ে মৎস্যচাষ, আহরণ ও পরিচর্যার বিকল্প নেই। দেশীয় জাতের মাছ আজ নানা কারণে বিলুপ্ত হতে চলেছে। তাই সুস্বাদু দেশীয় জাতের মাছের সংরক্ষণও বংশবিস্তারেও গুরুত্ব দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশাল সমুদ্র এলাকায় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে সামুদ্রিক সম্পদের বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মৎস্যসহ সামুদ্রিক সম্পদের কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্লু-ইকনমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। আধুনিক জরিপ জাহাজ মীন সন্ধানী’র মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে গবেষণা ও জরিপ কার্য পরিচালনার কাজ হাতে নেয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। এবছর মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মাছচাষে গড়বো দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি দেশের সকল মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, সম্প্রসারণ কর্মী ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে