BNP

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ ৭৫টি জেলার  বিএনপির সাংগঠনিক অনেক নেতাই ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসনের সঙ্গে চলছেন ‘ম্যানেজ’ করে। গ্রেফতার এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলছেন নেতারা। বিগত ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে সহিংস আন্দোলনের পরও মামলা নেই তাদের বিরুদ্ধে। একক ব্যবসাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গেও ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে তাদের। লোক দেখানো কর্মসূচিতে থাকলেও গোপনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গেই সমঝোতা তাদের। আর এভাবেই রাজনীতি করছেন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের নেতাদের একাংশ। কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। কিছু কিছু এলাকার নেতাদের নামে মামলাও রয়েছে। জেল ও এলাকা ছাড়াও হয়েছেন ক্ষুদ্র একটি অংশ। এতে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেওয়া তথ্য থেকে এসব চিত্র উঠে আসে।

জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু বরিশালে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আন্দোলনে তার নামে কোনো মামলা নেই। তিনি  ঠিকাদারি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর ঝালকাঠিতেই থাকেন। নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। অবশ্য তিনি এসবের মধ্যেও ব্যবসা করছেন। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের রয়েছে তিনটি ফিলিং স্টেশন, ট্যাংক লরির ব্যবসা। সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চানের রয়েছে রড-সিমেন্টের ব্যবসা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সবই চালু রয়েছে। এ দুই নেতার বিরুদ্ধে তিনটি করে মামলা রয়েছে। অবশ্য তারা প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করেন। একাধিক মামলায় বিপর্যস্ত রংপুর মহানগর বিএনপি। জেলা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে তেমন মামলা না থাকলেও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দুই শতাধিক নেতার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে তারা ঘরেও ফিরতে পারছেন না। জেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা শিল্পপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। তারা মামলার শিকার হননি। তবে নগরীতে বাস করেন জেলা বিএনপির এমন শতাধিক নেতার নামে মামলা করে পুলিশ। তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বেগম খালেদা রাব্বানী। নাসের রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তবে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছেন।  নীলফামারী জেলার শীর্ষ পদে থাকা কেউই এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনো মামলার মুখোমুখি হননি। জেলা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান ঢাকায় থাকেন। কিন্তু বিগত সময়ে আওয়ামী বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি থাকলেও মামলার রোষানলে পড়তে হয়নি তাকে। সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিছুল আরেফিন চৌধুরীর নামেও নেই কোনো মামলা। বরগুনায় সরকারবিরোধী শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ রেখেই প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেন। অবশ্য জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। নোয়াখালী বিএনপির নেতা-কর্মীরা মামলায় জর্জরিত। জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান দলীয় কার্যক্রমে বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে নিজ জেলা ও ঢাকায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারুন অর রশিদ আজাদের বিরুদ্ধে ওয়ান-ইলেভেনের সময় দায়ের হওয়া মামলা রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন সরকারবিরোধী আন্দোলনে বার বার কারাবরণ করেছেন। একাধিক মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাধারণ সম্পাদক মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, একাধিক মামলা থাকলেও নির্বিঘ্ন নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ। কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের কোনো মামলা নেই। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করে চলেন বলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন। বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের একাধিক মামলা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন শিকদার জিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাধিক ৩১টি মামলার খড়গ ঝুলছে। বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমানের বিরুদ্ধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যার চারটি মামলা দায়ের হয়। হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি আত্মগোপনে আছেন। অন্যরা জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছেন। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদি রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। সৈয়দ মেহেদি রুমী জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনীতি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ৩টি করে মামলা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস নাশকতার এক মামলায় কারাগারে যান। দুই মাস পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে বর্তমানে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় বলে দলের ভিতরে ও বাইরে আলোচনা রয়েছে। ‘ম্যানেজ’ নীতিতে তিনি জামিন নেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ। শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদুল হক রুবেলের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। নিজের ব্যবসাও রয়েছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক আশীষ ১৫টি মামলার আসামি। নওগাঁ জেলা বিএনপির কার্যক্রম চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। পেশায় তিনি একজন ঠিকাদার ব্যবসায়ী। পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি কে এস মাহমুদ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতার পরিবহন ব্যবসা রয়েছে। তিনি একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক। প্রকাশ্যেই ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়পুরহাটের জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান। মোজাহার আলী প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান মামলামুক্ত। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে চলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি লুত্ফর রহমান মিন্টু একাধিক মামলার আসামি। তিনি পেট্রল পাম্প ব্যবসায়ী। সাধারণ সম্পাদক মুকুল চৌধুরী রাজনৈতিক মামলায় জামিনে রয়েছেন।  মামলার আসামি হিসেবে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবু দীর্ঘদিন থেকে আত্মগোপনে। সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম ডলারের বিরুদ্ধেও ৯টি মামলা রয়েছে। তবে জামিন নিয়ে তিনি এলাকায় রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়ার জেলায় সেই অর্থে কোনো অবস্থান নেই। পাপিয়া ঢাকায় আইন পেশায় ব্যস্ত। অবশ্য বেশ কিছুদিন কারাগারে থেকে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন। তার স্বামী রাজশাহী সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদও নিয়মিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান না। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তিনি ঠিকাদারি করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল বিএনপির। অন্যদিকে শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা ও নাশকতা মামলা থাকায় তিনি আত্মগোপনে। চাঁদপুর বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক চার মামলার আসামি হয়ে ঢাকায় থাকেন। বর্তমান আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কারাভোগও করেছেন। ঢাকায় তার সিমকার্ড ও পলিথিন ফ্যাক্টরি রয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি সাবেক এমপি মসিউর রহমানের ৭টি মামলা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর পৌর মেয়র আবদুল মালেকের নামে মাত্র একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তিনি কিছুদিন জেলও খেটেছেন। পঞ্চগড় জেলায় বিএনপির রাজনীতি স্থবির। নানা জটিলতা আর গ্রুপিংয়ের কারণে কমিটিই হয়নি। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু ব্যবসায় (সাহাবুদ্দিন ট্রেডিং কোম্পানি) জড়িত। নড়াইলে বিএনপির দলীয় কার্যক্রম স্থবির। দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলা থাকায় আড়ালে চলে গেছেন তারা। দলীয় কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচিও পালিত হয় না। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরাও মামলায় জর্জরিত। সিটি মেয়র আরিফুল হক কারাগারে।  কারাফটক পেরোতে পারছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির নেতারাও। মাদারীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক আবু মুন্সি ও সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ভালোই আছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার ‘সম্পর্ক’ ভালো।ভোলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া মামলার আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ গোলাম নবী আলমগীরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় পার্টির এমপি আশরাফ উদ্দিন খান বরাবরের মতোই সরকার দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে চলছেন। কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি তাকে। রাজনীতির বাইরে থেকে উঠে আসা ডা. আনোয়ারুল হক জেলার সাধারণ সম্পাদক। তিনি একটি মাত্র মামলায় জামিনে রয়েছেন। মামলায় জর্জরিত যশোর বিএনপি। পৌর নির্বাচনের আগে এসব নেতা-কর্মীর বেশির ভাগ বাড়িতে ফিরলেও এখনো তাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাগেরহাট জেলা বিএনপিরও একই অবস্থা। মামলা-হামলার পাশাপাশি ব্যবসা আর্থিকভাবেও নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কুমিল্লার দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। উত্তর জেলার নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামানসহ শতাধিক নেতা-কর্মী বর্তমানে কারাগারে। দুই শতাধিক মামলা রয়েছে কুমিল্লা দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ জেলার সভাপতি রাবেয়া চৌধুরী বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় মাঠের কর্মসূচিতে তেমন যান না। যুগ্ম সম্পাদক সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দলের কর্মসূচি থেকে দূরে। গোপালগঞ্জে জেলা বিএনপির সভাপতির নামে ছয় মামলা। সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলা নেই। গোপালগঞ্জের সভাপতি হলেও থাকেন ঢাকায়। নানা ব্যবসা রয়েছে তার। তবে সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলীর নামে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এখন ঢাকায় অবস্থান করে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন। জেলা সভাপতি আফরোজা খান রিতা দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুন্নু গ্রুপ অব কোম্পানিজ লি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত ইসলাম পলিমার অ্যান্ড সাইজারস লি-এর ব্যস্থাপনা পরিচালক। এরা দুজনেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। রাজনীতির কারণে মাঝেমধ্যে এলাকায় আসেন। রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফার নামে ২৪টি মামলা। তার আয়ের মূল উৎস ঠিকাদারি। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি কোনো কাজ পাননি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল মনিরের নামে দুটি মামলা। আইন পেশার মাধ্যমে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর নামে ৭টি মামলা। এর মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের নামেও ৭টি মামলা আছে। ময়মনসিংহে মামলায় কাবু হয়ে পড়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ। অপরদিকে ‘ম্যানেজ’ নীতির কারণে মামলা নেই উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খুররম খান চৌধুরীর। এভাবেই ‘ম্যানেজ’ করে চলছেন নেতারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে