ডেস্ক স্পোর্টসঃ বন্ধু লুইস সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন এক গোল। সবমিলে ম্যাচটি আক্ষরিক অর্থেই মেসিময়। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে রোমাঞ্চ ছড়ানো লড়াইয়ে দুই দুইবার পিছিয়ে পড়লো বার্সেলোনা। দুইবারই গোল শোধ করলেন লিওনেল মেসি। এমনকি জয়সূচক গোলটিও করলেন। তাতে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অনন্য মাইলফলকে পৌঁছালেন এ আর্জেন্টাইন। ৫০তম হ্যাটট্রিক। অথচ ম্যাচের এক তৃতীয়াংশ সময় পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ম্যাচের ভাগ্যে ড্র লেখা আছে। কিন্তু কেনো তাকে ‘সবার সেরা’বলা হয়, তার আরও এক নজির স্থাপন করলেন লিওনেল মেসি।

এই ফুটবল জাদুকরের জাদুতেই সেভিয়ার মাঠ থেকে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। আর এমন অসাধারণ জয়ের ম্যাচে নিজের ক্যারিয়ারের ৫০তম হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন মেসি।

মেসির হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি এদিন গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। গত কয়েক ম্যাচে একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করা এ স্ট্রাইকারের ছন্দে ফেরা নিঃসন্দেহে ক্লাবটির জন্য দারুণ খবর। আর হ্যাটট্রিকের ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ গোল দেওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন মেসি। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫টি গোল দিয়েছেন এ তারকা।

তবে পাল্টা আক্রমণ থেকে ম্যাচের ২২তম মিনিটে পিছিয়ে পরে বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধে মেসির ভুল পাস থেকে বল পেয়ে সামনে বেন ইয়েদেরকে বাড়ান কুইন্সি প্রোমেস। বল পেয়ে আড়াআড়ি পাস দেন অধিনায়ক হেসুস নাভাসকে। বল ধরে বুদ্ধিদীপ্ত এক কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

গোল শোধ করতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেয়নি অতিথিরা। মাত্র চার মিনিট পরই মেসির দুর্দান্ত এক ভলিতে সমতায় ফেরে দলটি। বাঁ প্রান্ত থেকে ইভান রাকিতিচের ক্রস থেকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে অসাধারণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এ আর্জেন্টাইন। আর এ গোলের মাধ্যমে রোনালদোকে ছাড়িয়ে সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৬টি গোল দিলেন মেসি। এতদিন রোনালদোর সঙ্গে যৌথভাবে ২৫টি গোল দিয়েছিলেন এ তারকা।

৪২তম মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় সেভিয়া। এবারও প্রতিপক্ষের ভুলেই সুযোগ পায় দলটি। ঠিকভাবে পাস দিতে পারেননি টের স্টেগান। তার দুর্বল শট থেকে মাঝ মাঠে বল পেয়ে যায় তারা। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে গ্যাব্রিয়েল মারকাদোকে পাস দেন পাবলো সারাবিয়া। ডি বক্সের মধ্যে নিখুঁত এক কোনাকুনি শটে জালের ঠিকানা খুঁজে পান এ আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।

৬৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। অবশ্য এ গোলে কিছুটা দায় রয়েছে সেভিয়া গোলরক্ষক টমাস ভাসলিচ। তার দুর্বল শটে বল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। সতীর্থের পা ঘুরে সে বল আসে উসমান দেম্বেলের কাছে। বাড়ান মেসিকে। ডি বক্সে সামান্য ঢুকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন বার্সা অধিনায়ক। ৮৫তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মেসি। কার্লস অ্যালেনার শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল চলে যায় মেসির কাছে। আলতো চিপে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।

পিছিয়ে পরে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। বেশ কিছু সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তা কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ে আরো একটি গোল খেয়ে বসে তারা। মেসির নিখুঁত পাসে ডি বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সুয়ারেজ। আলতো চিপে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান এ উরুগুইয়ান।

B/D/24/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে