প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের কার্যক্রম টেকসই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছি।

রোববার (৭ আগস্ট) ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Step up for Breastfeeding, Education and Support’ অর্থাৎ ‘মায়ের দুধ পান: শিক্ষা ও সমর্থনের পদক্ষেপ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। মাতৃদুগ্ধ পান শিশুদের পুষ্টি পূরণ এবং সম্মিলিত শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়।

তিনি বলেন, সাধারণভাবে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে। প্রতি বছর শিশু অপুষ্টির হার ১.২৭ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ ৯৭টি দেশের মধ্যে ৯১.৫/১০০ স্কোর পেয়ে সারাবিশ্বে ১ম স্থান অধিকার করে গ্রীন জোনে আছে। মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য ও বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য এবং উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ আইন)-২০১৩ ১ম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, রেলস্টেশন সব জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছি। এরই মধ্যে আমরা দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে, চিড়িয়াখানায়, বিভিন্ন রেলস্টেশনে, শপিং মলে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করেছি। এছাড়া হাইকোর্ট থেকে বিভিন্ন শিল্প কারখানাগুলোতে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪র্থ সেক্টর হেল্থ, নিউট্রিশন ও পপুলেশন প্রোগ্রাম এবং ২য় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনার আওতায় মাতৃ ও শিশু পুষ্টিসহ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি, অতি শিগগির সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। আমি দেশের সর্বস্তরের শিশুকে ৬ মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করানো, ৬ মাসের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খাওয়ানো এবং ২ বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ চালিয়ে যাওয়ার অগ্রগতির ধারাকে জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টিসেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)-সহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২’- উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে