chul

 বিডি নীয়ালা নিউজ( ৭ই মার্চ ১৬)-গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে চুল লম্বা থাকায় শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রকে শিক্ষক বেদম মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের পর ওই শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লেও রেহাই পায়নি। অজ্ঞান অবস্থায় সহপাঠীদের সামনে তাকে লাথি মেরেছেন ওই শিক্ষক।

সোমবার সকালে শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা আবদুল আউয়াল একাডেমিতে ওই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। শিক্ষকের নিমর্মতার শিকার ছাত্রের নাম হাবিবুর রহমান (৮)। সে ওই এলাকার ডিমের আড়তদার খলিলুর রহমানের ছেলে। হাবিবুর রহমান ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। হাবিবুর রহমানের বাবা খলিলুর রহমান জানান, সোমবার সকালে হাবিবুর স্কুলে গেলে গণিতের পাঠদানকালে শিক্ষক নাঈম ফোরকান মাথায় চুল লম্বা থাকায় তাকে বেদম মারধর করেন। সহপাঠীরা জানায়, পাঠদানকালে নাঈম ফোরকান হঠাৎ হাবিবুর রহমানের কাছে এগিয়ে যান। ‘মাথায় চুল লম্বা কেন’ জানতে চেয়েই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি মাথার চুল টেনে ধরে পিঠে সজোরে উপর্যুপরি ঘুষি মারেন। চিৎকার করে হাবিবুর স্কুল কক্ষের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে টেনে তুলে দুই গালে চড়-থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে হাবিবুর অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে ‘ভান ধরেছে’ বলে লাথি মারেন ওই শিক্ষক। ওই সময় শিক্ষকের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আতঙ্কে অনেকেই কেঁদে ফেলে। পরে টের পেয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ছুটে গিয়ে হাবিবুরকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেন। স্বজনরা তাৎক্ষণিক তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। আমি আপনার (সাংবাদিকের) কাছেই শুনলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনা প্রমাণীত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে