কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ডের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সুবিধাভুগিদের জমাকৃত ৪৮০০/-চার হাজার আটশত টাকার থেকে প্রত্যেক সুবিধা ভোগিদের নিকট হতে দুইশত টাকা কর্তন করে পকেটে ভরলেন মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু।

জানা গেছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মোট ভিজিডি কার্ড ৪৬১টি। সেই ৪৬১টি ভুক্তভোগীর সঞ্চয় জমা হয়েছে মোট ২২১২৮০০/- টাকা। তাদের এই সঞ্চয় ফিরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় গত এক সপ্তাহ ধরে। গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে প্রত্যেকটি কার্ডধারীর নিকট হতে ২০০/-শত টাকা কর্তন করে পকেটে রাখতেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু।

সঞ্চয় টাকা ফিরত নিতে আসা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন আমাদের কাছ থেকে জোড়পূর্বক ২০০/-টাকা করে কেটে নেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়টা দেখার কাও নাই। আমরা কষ্ট করে ২বছরে ৪৮০০/- টাকা জমা করেছি। সেই টাকা থেকে ২০০/-টাকা করে কেটে নিয়ে ৪৬০০/-টাকা দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। আমাদের কাছ থেকে ২০০/- টাকা করে কেন কেটে নিচ্ছেন, বললে তখন তারা কিছু বলেন না।

৪নং ওয়ার্ডে নিলুফা বলেন মুই গরীব মানুষ নিজে খাবার পাংনা। আবার মোর কাছ থাকি কি টাকা নেওয়ার উচিৎ হইছে কনতো তোমরা? দানের টাকা জোড় করি ন্যাওয়া যায়না। মোর টাকা ২০০/-ফিরত দিলে ভালো হইবে।

৩নং ওয়ার্ডে চিনিমাই বলেন, সরকার হামাক ভিজিডি কার্ড দেছে চাল খাবার জন্যে। আর ২০০/-টাকা করি জমা করির কইছি। সেই জন্যে হামরা কষ্ট করি জমা করছি। হামার কষ্ট করার টাকা আজ কেটে নেইল এটা কেমন কথা।

এবিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিকুন্নাহার বলেন, আমি চেয়ানম্যানকে নিষেধ করেছি। তারপরেও টাকা নিয়েছে আমার কথা শুনতেছে না। আপনারা রিপোর্ট করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে