স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু আছে দুই কোটি ২০ লাখ। এই বয়সী শিশুরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক, তাদের হিসাবে নেওয়া হয়েছে। এতে তারা ভাসমান হোক আর স্কুলে না যাওয়া শিশু হোক, সবাই করোনার টিকা পাবে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। শিশুদের টিকা কার্যক্রম ১১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা হবে। তার জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন নেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবে না জাহিদ মালেক বলেন, টিকা তারাই নিতে পারবে যারা নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তবে তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, শিশুদের প্রথম টিকা দেওয়া হবে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে। সেখানকার স্কুলগুলোতে এই টিকা দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, শিশুরা যেন সঠিক সময়ে কেন্দ্রে এসে টিকা নেয়। এছাড়া স্বাস্থ্য প্রটোকলের যে বিষয়টি রয়েছে তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। কেউ যদি অসুস্থ হয় তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও সেখানে নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতেও টিকা দিয়েছি। আমাদের ডাক্তার, নার্সদের এখন পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা প্রশিক্ষিত। ৩০ কোটি টিকাদানেও আমাদের কোনো রকম কোনো অঘটন ঘটেনি। আমরা শিশুদের টিকাদানে বিশেষভাবে মনোযোগী আছি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে