সব ধরনের জাতিগত বৈষম্য সম্পূর্ণ নির্মূল করার লক্ষ্যে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২০ মার্চ) জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শুভ দিনে, আসুন আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহিষ্ণু, শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সব ধরণের জাতিগত বৈষম্যের সম্পূর্ণ নির্মূলের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা জোরদার করি। যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রকার বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য ও বিদেশি ভীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। একই সঙ্গে সহনশীলতা, অন্তর্ভুক্তি ও ঐক্য জোরদার করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি। সব প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় ও আপসহীন অবস্থান ইতিহাসে গভীরভাবে প্রোথিত।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্ণ, ভাষা ও জাতিগত কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আমাদের সহ্য করতে হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বান বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর জন্য বাঙালিদের সংগঠিত ও সফল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এজন্য মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা ও একই সঙ্গে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের অঙ্গীকার আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের (সিইআরডি) একটি পক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ সব জাতি, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জোরদার করতে চায়। বৈষম্যহীনতা ও সহনশীলতার এ ধরনের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাকে সমর্থন করে।

‘এটি সত্যিই হতাশাজনক বাস্তবতা যে, বিশ্ব এখনো বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য, অসহিষ্ণুতা ও বিদেশি ভীতিতে জর্জরিত।’

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নিপীড়ন একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তাছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে বর্ণবাদ ও জাতিগত বৈষম্য দুর্ভাগ্যবশত সহিংস রূপ ধারণ করছে। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি পদক্ষেপ-ভিত্তিক পদ্ধতি জরুরি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে