জানালেন, ছবিটির বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে নিজেও চিন্তিত ছিলেন। তাই তো ছবিটি পরিবারের সঙ্গে দেখতেও কুন্ঠিত বোধ করেন। রিলিজ়ের দুবছর আগে মা-বাবার সঙ্গে ছবিটি বাড়িতে দেখেছিলেন। বাইরের লোক যাতে জানতে না পারে সেজন্য ঘর বন্ধ করে, আলো নিভিয়ে ছবিটি চালানো হয়েছিল। সীমা চাননি ছবিটি শেষ হওয়ার পর বাবা-মা তাঁর চোখে চোখ রাখুক। মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়েছিলেন। হয়তো তাঁরা ছবি দেখে খারাপ ভাববেন, এই ছিল তাঁর ধারণা। কিন্তু, তা হয়নি। বরং, সেদিন মেয়ের প্রশংসা করেছিলেন বাবা। বলেছিলেন, “এই চরিত্র আমাদের সীমাই একমাত্র করতে পারে।”

শেখর কাপুর পরিচালিত ছবিটিতে ফুলনদেবীর চরিত্রে সীমার অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছিল। তার পিছনে অভিনেত্রীর অবদান অনস্বীকার্য। জঙ্গলে থাকার সময় পরপর দুদিন খেতে পাননি ফুলনদেবী। সেই দৃশ্যকে বাস্তবের মতো পরদায় তুলে ধরতে নিজেও না খেয়ে ছিলেন সীমা। একজন দস্যুর মতো জীবনযাপনের জন্য পাড়া-প্রতিবেশীদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

সীমা আরও জানিয়েছেন, যে নুড সিন নিয়ে বিতর্ক সেটি তিনি করেননি। বডি ডাবলের মাধ্যমে করা হয়েছিল। তবে তারপরও চাননি দৃশ্যটি থাকুক। পরিচালককে সেই আবেদন করেওছিলেন। কিন্তু, শেখরবাবু দৃশ্যটি রেখে দেন। ফুলনদেবীর সংকট, সামাজিক পরিস্থিতি দেখানোর জন্য সেই দৃশ্যটি রাখা জরুরি ছিল, যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি। ফুলনদেবী নিজে একসময় ছবির বিরোধীতা করেন। রিলিজ় হোক তা চাননি। পরে যদিও আদালতের নির্দেশে  ব্যান্ডিট কুইন মুক্তি পায়।

তবে নুড সিন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়লেও কোনওদিন স্বীকারোক্তি দেননি সীমা। তাঁর বক্তব্য, মা-বাবাকে জানিয়ে দৃশ্যটি করেছিলেন। ফলে, কারোর কাছে জবাবদিহি করার বিষয়ে তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন না। মজায় বিষয় হল, সেই বিতর্কিত দৃশ্যটির জন্য নাকি আজও সীমার প্রশংসা করেন হলিউডের কলাকুশীলবরা। অথচ সেই দৃশ্যটি করেনইনি এই অভিনেত্রী।

সো/র

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে