ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে প্রারম্ভ রেখা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা এবং আর্থিক খাতে শৃংখলা জোরদারে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ ও স্থিতিশীল হতে হলে জাতিসংঘ তিনটি সূচক বিবেচনা করে। মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ দুটি সূচকে প্রারম্ভ রেখা অতিক্রম করেছে। অন্য সূচকটিতে বাংলাদেশ প্রারম্ভ রেখার বেশ কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের কৌশলগত দলিল হিসেবে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২১) প্রণয়ন করা হয়। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় গৃহিত কর্মকৌশল ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদ (২০১০-১৫) ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১২-২০ এর মাধ্যমে সরকার অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ এবং তা মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা বিবৃত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মধ্যম মেয়াদে (২০১৯-২০ অর্থবছরে) তা যথাক্রমে ৯ দশমিক শূন্য এবং ২৫ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সারাদেশে ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের গতিশীলতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া আর্থিক খাতের ব্যাপক সংস্কার সাধন করে বিভিন্ন কার্যকর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

 

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে