ডেস্ক রিপোর্ট : গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে রূপালি ইলিশ ধরা দিতে শুরু করেছে। সাগর থেকে জেলেরা ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন।চলতি বছরে ইলিশ মৌসুমের প্রথম দুই মাসে ইলিশের দেখা মেলেনি। জেলে, ট্রলার মালিকসহ মৎস্য পেশার সঙ্গে জড়িত সবাই হতাশ হয়ে পড়ে ছিলেন। এখন জেলেপল্লীতে আনন্দের বাতাস বইছে। তবে স্থানীয় বাজারে ইলিশ প্রাপ্তির কোন ছাপই নেই।

যথারীতি সাধারণ ক্রেতাদেরও নাগালের বাইরেই রয়েছে ইলিশের দাম।
পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিএফডিসি ঘাটে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে আছে সাগর থেকে ফিরে আসা ইলিশ ভর্তি ট্রলার। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘাটে নোঙর করছে ট্রলারগুলো। সকালে ট্রলার থেকে ইলিশ নামানোর জন্য প্রস্তুত ঘাট শ্রমিক। কেউ ইলিশ মাছের ঝুড়ি টানছেন, কেউ প্যাকেট করছেন, কেউ প্যাকেট ট্রাকে তুলছেন। এখানে ক্রেতা-বিক্রাদের মিলন মেলা। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন মোকামে ইলিশ রপ্তানি চলছে।
কক্সবাজার থেকে পাথরঘাটায় আসা এফবি সাগর ২ নামের একটি ট্রলারের জেলে শ্রমিক মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, তারা সাতদিন সাগরে মাছ ধরেছেন। ২০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। আলাপকালে জেলেরা জানিয়েছেন, সাগরে এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। চরদুয়ানী ইউনিয়নের আবু বকর মোল্লার মালিকানা এফবি লাকী ট্রলার ১৮০ মণ ইলিশ মাছ পেয়েছে। যা বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এটি এ বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের হিসেব মতে বৃহ¯পতিবার গড়ে প্রতি মণ ইলিশ পাইকারী বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে, এক সপ্তাহ আগেও দর ছিল ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত দুদিন ধরে জেলেরা সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। প্রথম দিকে রপ্তানি চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তাই স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের পরিমাণ কম, দর বেশী।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে