সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার: বন্যায় বাড়িঘর, ফসলি জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলায় ৪০৭টি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজের সংখ্যা ১৪৬টি এবং বাকি ২৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীসহ অভিভাবকদের।সেই সাথে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তাই আছে ছাত্র-ছাত্রীরা । আর মাত্র ৩ মাস পর জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা ৪ মাস পর স্কুলের সকল ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা। একদিকে বন্যার পানিতে বই নষ্ট হয়ে গেছে অন্য দিকে সাপ আতঙ্কে আছে স্কুলের ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ধীরগতিতে কমলেও এখনো দুর্ভোগ কমেনি। পানিবন্দি মানুষ গবাদি পশু ও শিশুদের নিয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পানি নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় গত ১৪ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তাদের পড়াশুনা হচ্ছে না তারা রেজাল্ট ভালো না করার সম্ভবনা বেশী।এ ব্যাপারে রাশেদ নামের এক স্কুল ছাত্র জানান,বন্যার কারনে আমাদের পড়াশুনা খুবই খারাপ হচ্ছে। এ বছর আমরা ভালো রেজাল্ট করতে পারব না।রেহানা নামের এক মাদরাসার ছাত্রী জানান, ২ বার বন্যার কারনে আমাদের পড়াশুনা খুবই ক্ষতি হচ্ছে। আর মাত্র কয়েকদির পর পরীক্ষা কি যে হয় । একদিকে বই নষ্ট হয়ে গেছে অন্যদিকে সাপের ভয়ে বাইরে যেতে পারিনা।

তাই পরীক্ষায় কি যে হয়।সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মো. ইউসুফ রেজা জানান, ২৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া বন্যায় সাতটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও ৩০৭টি প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল্লাহ বলেন, ১৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে শাহজাদপুরের কৈজুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পানি কমছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ক্লাস চালু করা সম্ভব হবে।সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে কমে যাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে নিন্মাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে