জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা অটোরিকশা চালক আলমগীর হোসেনকে (৩২) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) নিহতের স্ত্রী আতিকা বেগম বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নিহতের শ্বাশুড়ী আবেদা বেগম ওরফে হাজিয়ানী (৫০) ও একই এলাকার মো. শাহিনকে (৩১) গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, থানায় ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে দেয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত ওই দুই আসামী।

উল্লেখ্য যে, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া (সর্দারপাড়া) তছলিম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন। পেশায় অটোরিকশা চালক আলমগীর সৈয়দপুর শহরে উপকন্ঠে ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনে ২৪/৭ নম্বর বাঙ্গালীপট্টির শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতো। ঘটনার দিন গত ১৮ মে (বুধবার) বিকেল আনুমানিক পাঁচটার উত্তরা আবাসনের বাড়িতে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে তাকে (আলমগীর)। এ সময় তাঁর স্ত্রী আতিকা বেগম নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে কাজে গিয়েছিলেন। দুই সন্তানের জননী আলমগীরের স্ত্রী গৃহবধূ আতিকা বেগম ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের নজরুল ইসলাম ও আবেদা খাতুন হাজিয়ানি দম্পতির মেয়ে। ২০১২ সালে মোছা. আতিকা বেগমকে ভালবেসে বিয়ে করেন আলমগীর হোসেন। বিয়ের এক বছর পর থেকে আলমগীর ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাঙ্গালীপট্টির বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আলমগীর ও আতিকা দম্পতির আফরিজি ইসলাম আশু (৭) ও আলিফ ইসলাম(৪) নামের দুইটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানাত খান অটোরিকশা চালক আলমগীরকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের শ্বাশুড়ী আবেদা বেগম ওরফে হাজিয়ানী ও একই এলাকার মো. শাহিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এবং তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে