কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে অভিনব কায়দায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে দেদারচে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা। উপজেলার মাগুড়া, গাড়াগ্রাম, রনচন্ডী, বড়ভিটা, কিশোরগঞ্জ সদর, চাঁদখানা, পুটিমারী, বাহাগিলি, নিতাই সবকটি ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জের, চায়ের দোকানে, মুদি দোকানের সামনে,পরিত্যাক্ত যাত্রী ছাউনিতে, অটোবাইক, স্ট্যান্ডে ও খেলারমাঠসহ বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ভাবে চলছে এসব খেলা।

এসব জুয়া খেলায় প্রতিনিয়ত নতুন করে যোগ হচ্ছে ওই এলাকা শিক্ষিত বেকার যুবকসহ কিছু স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। তাসের জুয়ার পাশাপাশি এখন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জুয়া খেলার আসর দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম অতংকে ভুগছে। গোটা উপজেলা মিলে প্রতিনিয়ত প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো জুয়া খেলা হয়ে থাকে বলে সচেতন মহলের ধারণা।

একটি সূত্র জানায় জুয়াড়ীদের সাথে একশ্রেণির দাদন (সুদি) ব্যবসায়ী জড়িত রয়েছে। তারা জুয়া না খেললেও জুয়াড়ীদের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে কাজ করে। তেনারা টাকা নিয়ে বসে থাকে কখন কোন জুয়াড়ী ফতুর হয়। ফতুর হলে পরবর্তী খেলার জন্য জুয়াড়ীরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল কিংবা মোবাইল ফোন বন্ধক অথবা দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে পুণঃরায় খেলা শুরু করেন।

উল্লেখ্য যে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জুয়াড়ীদের গ্রেফতার করে অধিকাংশ সময় নিয়মিত মামলা কিংবা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে না পাঠানোর ফলে পরদিনে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় খেলা শুরু করেন।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন জানান, যে কোন ইউনিয়ন থেকে জুয়াড়ীদের গ্রেফতার করা হলে তাৎক্ষনিক ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা একশ্রেনির দালাল স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগসাজস করে অর্থের বিনিময়ে জামিনযোগ্য ধারায় জুয়াড়ীদের জেলহাজতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তাই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জুয়া বন্ধে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান জুয়াড়ীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এছাড়া সঠিক কোন তথ্য থাকলে আমাদেরকে জানালে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে