ডেস্ক রিপোর্ট : আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার দুর্নীতি দমনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।‘দুর্নীতি আমাদের রন্ধে- রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতি স্বল্প সময়ে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়, তবে বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা কার্যকর করায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দুর্নীতি বহুলাংশে কমে যাবে।’
অর্থমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে হটলাইন ‘১০৬’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারকে দুর্নীতি দমনের শ্রেষ্ঠ উপায় হিসেবে অভিহিত করে এএমএ মুহিত বলেন,‘আমরা এখন সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে গেছি বলেই প্রযুক্তির মাধ্যমেই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব।’তিনি দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে দুর্নীতির তদন্ত করবেন এবং কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও আপনাদের নজর দিতে হবে।
দুুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কমিনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ এবং কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ‘১০৬’ আজ বৃহস্পতিবার থেকে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

তিনি বলেন, আমি আশা করি দুদকের এ হট লাইন চালু হওয়ায় এ বছরই দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে।যারা দুর্নীতি করে তাদের কন্ঠ রোধ করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুদক চেয়ারম্যান।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়,হটলাইন-১০৬ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) অনুমোদনসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিধি-বিধানও যথাযথভাবে পরিপালন করা হয়েছে।ইতোমধ্যে হটলাইন ‘১০৬’ পরিচালনার জন্য কমিশনের ৫০ জন কর্মকর্তাকে প্রযুক্তি এবং আচরণগত বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে প্রতিদিন অফিস সময়ের মধ্যে (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত) ১০৬ নম্বরে ফ্রি কল করা যাবে। এক্ষেত্রে অভিযোগকারির নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে দুদক নিশ্চিত করেছে।

বি/এস/এস/এন


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে