বিডি নীয়ালা নিউজ(৬ই ফেব্রুয়ারী১৬)- ঢাকা প্রতিবেদকঃ দেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ব্যয় কমাতে মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহারে আরো মনযোগী হবারও কথা বলেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-আইইবি’র ৫৬তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। কথা বলেন নদীমাতৃক বাংলাদেশের রুপরেখা নিয়েও।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। বাস্তবায়নের সময়ের দিকও বিবেচনায় রাখতে হবে। অহেতুক বাস্তবায়ন সময় বাড়লে ব্যয়ও বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বিদ্যুৎ,আবাসন ও নদী-নালা নিয়ে প্রকৌশলীদের সামনে বেশকিছু পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনায় তিনি প্রকৌশলীদের প্রচলিত পন্থার বাইরে জায়গার ব্যবহার মাথায় রেখে পরিকল্পনা প্রণয়নের কথাও বলেন। খালের যেপাশে চার ফুট উঁচু বাধ দিলে হয়, সেখানে ১০ থেকে ১৬ ফুট উঁচু বাধ নির্মাণের অবস্থা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে নিজের গ্রামের জীবনের অভিজ্ঞতাকে প্রকৌশলীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এসময় নিজের কিছু দাবি জানিয়ে উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষিপ্তভাবে উন্নয়ন না করে পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নের কথা বলেন তিনি। রাস্তা-বিদ্যুৎ এবং পয়ঃনিষ্কাষণের ক্ষেত্রে শুধু খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা না করে জনবান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে ফসলি জমি, জলাভুমি, বসত কিংবা স্থাপনা বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাস্তা-ঘাট, শিল্প-কারখানা স্থাপনে ফসলি জমি ব্যবহার যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে সেটি মনে রাখা দরকার। আবাসনে দেখা দরকার পর্যাপ্ত জলাভুমি,খেলার মাঠ থাকছে কি-না। দৃশ্যত এসব ছোটখাটো বিষয় মনে হলেও প্রকল্পের জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। আমদানি করা হচ্ছে বিদেশ থেকে। প্রতিবেশি চার দেশ মিলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাও চলছে। বর্তমানে দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।’ অচিরেই শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুতের এ সুবিধা পৌঁছবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।