মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমনি ওরফে শামসুন নাহার স্মৃতির জামিন আবেদনের শুনানি মহানগর দায়রা জজ আদালতে অবিলম্বে করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।   

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারিপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে মাদক মামলায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পরীমনির করা জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২১ দিন পরে তারিখ নির্ধারণ করার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না এবং দ্রুত জামিন শুনানির আবেদন দুই দিনের মধ্যে কেন শুনানি করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

১ সেপ্টেম্বররের মধ্যে রুলের জবাব চেয়ে ওইদিন পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।   আদালতের এ রুল জারির আদেশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে বিবাদীদের নিকট পাঠাতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.মজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।

মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে  বৃহস্পতিবার এ আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এতে বিলম্বে দিন নির্ধারণ করার বৈধতা চ্যালেঞ্চ করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (২২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পরদিন আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য আরও একটি আবেদন দেন কিন্তু সেটিরও শুনানি হয়নি।

২২ আগস্ট জামিন আবেদনের বিষয়ে মজিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, আমরা সিএমএম আদালতে জামিন আবেদন করি। সেখান থেকে জামিন পাননি পরীমনি। এবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেছি। ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে।

জামিন আবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনেকনদিন ধরে পরীমনি কারাগারে আছেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার পেশাগত কাজ আটকে আছে, শুটিং বন্ধ রয়েছে। ১০টি সিনেমার সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। সেসব সিনেমার সহশিল্পী কলাকুশলীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে সরকারি অনুদানের ছবি অগ্নিযুগের বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের চরিত্রে কাস্টিং নায়িকা পরীমনি। এত বড় মাপের একজন শিল্পীকে এভাবে একটি মামলায় আটকে রাখার মধ্যে আইনি সঠিক সিদ্ধান্তের বিষয় হতে পারে না। তাই আশা করছি, সবকিছু বিবেচনায় রেখে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।  
৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

এরপর ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে