images(4)

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮জানুয়ারি১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি):   যারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল তাদের ফলাফল নেই। অথচ যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি তাদের ফলাফলে পাস দেখানো হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উদাসিনতা ও কম্পিউটার অপারেটরের অদক্ষতার কারণে প্রায় শতাধিক প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষার্থীর এই চিত্র ফাঁস হয়ে পড়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই উপজেলায় ২০১৫ সালে ১৭৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালল থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল ৫ হাজার ৯৯৯ জনের। অনুপস্থিত দেখানো হয় ২৩২জন। ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে দেখানো হয় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩৭ জন। অকৃতকার্য্ হয়েছে বালক ৬০ ও বালিকা ৯০ জন সহ ১৫০ জন। অভিযোগে জানা গেছে অকৃতকার্য যাদের দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে ১০৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে  অথচ তাদের ফেল দেখানো হয়।
অপরদিকে ইবতেদায়ীতে সর্বমোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৫৯ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ১০৮ জন। ফলাফলে দেখানো হয় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৮ জন। এখানে যে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল এমন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ এবারে প্রাথমিক সমাপনী ও এবতেদায়ী পরীক্ষায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানের উদাসিনতা ও অদক্ষ কম্পিউটার অপারেটরের চরম ভুলের তাদের সন্তানদের ফলাফল আসেনি। সুত্রমতে পি এস সি পরীক্ষার্থীদের নাম রেজিষ্ট্রেশন করার সময় একজন ছাত্রের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর আরেকজন ছাত্রের রোল নাম্বারের সাথে দিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলা হয়। এসব তালগোল পাকিয়ে ফেলা রোল নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বরগুলো যাচাই না করে শিক্ষা কর্মকর্তা ফলাফল প্রকাশের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে রেজাল্টশীট পাঠিয়ে দেন।

প্রাথমিত সমাপনী পরীক্ষার্থী রোকসানা আক্তার। যার রোল নম্বর ৫৩৭১। পিতা গোলাম রব্বানী, নাজমিন আক্তার রোল নম্বর ৩৬৩৫, পিতা হাবিবুর রহমানসহ আরো অনেক অভিভাবক বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা ও কম্পিউটার অপারেটরের ভুলের মাশুলের কারণে আমাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের একটি বছর পিছিয়ে যেতে বসেছে। আমরা উদাসিন শিক্ষা কর্মকর্তার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে