bonosri

বিডি নীয়ালা নিউজ(৩ই মার্চ১৬)-ঢাকা প্রতিনিধিঃ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মাহফুজা মালেক জেসমিন তার দুই ইশরাত জাহান অরণী (১৪) ও আলভী আমান (৬)-কে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন বিকেল ৫টার দিকে মা জেসমিন আক্তার মেয়েকে নিজের ঘরে নিয়ে ওড়না দিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মেয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় তিনি মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে একইভাবে ছেলেকে হত্যা করেন। মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, জেসমিন আক্তারের মানসিক উদ্বিগ্নতা ও অসুস্থতা, পরকীয়া, অর্থ-সম্পত্তির লোভ প্রভৃতি এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান কারণ। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আরো জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জামালপুর থেকে বুধবার সকালে নিহতদের বাবা পোশাক ব্যবসায়ী মো. আমানুল্লাহ, মা মাহফুজা মালেক জেসমিন ও খালা আফরোজা মালেক নীলাকে ঢাকায় আনা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজা মালেক দুই শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার গৃহশিক্ষিকা শিউলি, নিহতের আত্মীয় ওবায়দুর ও শাহিন এবং দারোয়ান পিন্টু মণ্ডল ও ফেরদৌসকে র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান অরণী (১৪) ও হলিক্রিসেন্ট স্কুলের নার্সারির ছাত্র আলভী আমান (৬) সোমবার মারা যায়।

রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে তারা মারা যায় বলে প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত মিলেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দুজনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অরণীর চোখে রক্ত জমাট ও গলায় আঘাত এবং আলভীর পা ও গলায় আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে- এমন ধারণার কথাও জানান ডা. প্রদীপ বিশ্বাস।

ফুড পয়জনিং হয়েছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি জানা যাবে। এর আগে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও প্রধান বাবুর্চিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ওই রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়েই দুই শিশু মারা যায় বলে প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। রামপুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার রাতে রেস্টুরেন্টের ওই তিন কর্মীকে আটক করা হয়। বনশ্রীর ৪ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাসায় সোমবার বিকেলে এ দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে