উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: নড়াইলে মামলা রুজুর ১ঘন্টার মধ্যে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, কর্তৃক ৪জন আসামী গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার মামলার বাদী মোসাঃ পারুল খাতুন (২৮), পিতা-আকছের মোল্লা, স্বামী-তুহিন মোল্লা, সাং-আউড়িয়া, থানা-নড়াইল সদর, জেলা-নড়াইল সদর থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীদরে বিরুদ্ধে এই র্মমে এজাহার করেন যে, তার নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ তাবাছুম খাতুন (১৪), আউড়িয়া সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল এর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।

ঘটনার দিন ইং-০৫/০২/২২ তারিখ রাত অনুমান ০৮ঘটিকার সময় বাদীর মেয়ে বাড়ী হইতে নড়াইল সদর থানাধীন বাদীর ভাই হাসিব মোড়ল এর বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন, কিন্তু রাত্র অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময়ে বাদীর নাবালিকা মেয়ে বাড়ী ফিরে না আসলে বাদীর ভাই হাসিব মোড়ল এর বাড়ীতে খবর নিতে যায়। খোজ নিয়ে দেখে বাদীর মেয়ে মামা বাড়ী যায় নাই।

বাদীর নিকটতম আত্মীয় এবং পাড়া প্রতিবেশি সবার সাথে যোগাযোগ করে কোথাও পায় নাই। ইং ০৬/০২/২০২২ তারিখ সকাল ০৭টার সময় বাদীর মোবাইলে ফোন আসে বাদী ফোন রিসিভ করতেই বাদী তার মেয়ের কন্ঠ শুনতে পায় সে বলে মা আমাকে কয়েকজন ছেলে মুখে রুমাল বেধে তুলে নিয়ে এসেছে কোথায় আটকে রেখেছে এতটুকু কথা বলতে ফোন কেটে যায়।

পুনরায় উক্ত নাম্বারে ফোন করলে ফোন বন্ধ পায়। পরবর্তীতে খোঁজা খুজির এক পর্যায়ে লোক মুখে জানিতে পারেন যে, বাদীর নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ তাবাছুম খাতুনকে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি নড়াইল সদর থানাধীন বৌ-বাজার পাগলের বটতলা নামক স্থান হইতে ইং ০৫/০২/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ০৮.২০ ঘটিকার সময় ইজিবাইকে করে তুলারামপুর দিকে নিয়ে যায়। বাদীর নাবালিকা মেয়ে তাবাছুম এর কাছে ঘটনার সময় ০১টি মোবাইল ফোন ছিল। যাহার মূল্য অনুমান ৮,৬০০/-(আট হাজার ছয়শত) টাকা সহ বাদীর কন্যাকে নিয়ে চলিয়া যায়।

অনেক খোজাখুজির পর না পেয়ে গত ০৯/০২/২২খ্রিঃ তারিখ উক্ত বিষয়টি পুলিশ সুপার, নড়াইলকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি অফিসার ইনচাজ নড়াইল থানাকে নিয়মিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন, এ সংক্রান্তে নড়াইল সদর থানার মামলা নং-০৬/৩৮ তারিখ-০৯/০২/২২খ্রিঃ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৩০ রুজু হলে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জনাব শিমুল কুমার দাস পুলিশ সুপার নির্দেশে দ্রুত ভিকটিম উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল টিমকে নির্দেশ প্রদান করেন।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল নড়াইলে কর্মরত এএসআই(নিঃ)/মোঃ কামাল হোসেন উক্ত মামলার ভিকটিম উদ্ধারের জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ভিকটিম উদ্ধারসহ ৪জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক মাহমুদুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে