কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) ॥ থেকে,মোঃ কাওছার হামিদ : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের দৈনিক রংপুর চিত্র ও এনবিএস ( সংবাদ সংস্থা ও ই-ডেইলী )-এর উপজেলা প্রতিনিধি প্রভাষক রউফুল আলমের স্ত্রী মোকরেমা বেগমের নিজ নামীয় মটরসাইকেলের ডিজিটাল ‘নাম্বার প্লেট’ তুলতে গিয়ে ডিজিটাল প্রত্যারণার স্বীকার হয়েছেন। বাজাজ সিটি-১০০ মটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের টাকা ব্র্য্যাক ব্যাংক সৈয়দপুর শাখায় ২২ মে ২০১৬ ইং জমা দেয়া হয়। মটর সাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র টাকা জমার রশিদসহ বিআরটিএ নীলফামারীতে জমা প্রদানের দীর্ঘ এক বছর পর বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার জন্য ০১৯১৭৭৭৬৬২৩ মোবাইল নাম্বারে ম্যাসেস দেয়া হয়। ম্যাসেস অনুযায়ী যথাসমায়ে স্মাট কার্ড রেজিঃ সার্টিফিকেটের জন্য ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ইং বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের চাপ দেয়া হয়।

ওই দিন রেজিস্ট্রেশন একনলেজমেন্ট স্লিপ মূল কপি দিয়ে বলা হয় যে, আপনার ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নীলফামারী -হ-১২-২৯৩৭ রেডি। আপনি মাসের প্রথম সপ্তাহে খোঁজ নিয়ে তুলে নিন। দীর্ঘ ৫ মাস ঘুরিয়ে উক্ত মোবাইল নাম্বারে ৩১ জুলাই ২০১৭ইং বিকাল ৩.৩৩ মিনিটে ম্যাসেস দেয়া হয় যে, আপনার নাম্বার প্লেট রেডি। নাম্বার প্লেট নিতে সমস্ত কাগজপত্র এবং এনআইডি কপিসহ ১লা আগস্ট ২০১৭ তারিখ সকাল ১০টা হতে বিকাল ৪টার মধ্যে বিআরটিএ নীলফামারী অফিসে আসুন। সকাল ১১টার সময় বিআরটিএর চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র জমা করা হয়। বিআরটিএর নাম্বার প্লেট বিতরণকারী মুকুল মিয়া ইন্টারনেট সার্স করে লিখলো ২০৩৮৮৪ দেখা গেলো মুকুল মিয়া যথাসময়ে বক্স থেকে নাম্বার প্লেট বের করে তাদের প্রায় ৫০/৬০ টি বাছাইকৃত নাম্বার প্লেটের সাথে একত্রিত করলেন। তাদের বিতরণের নিয়ম অনুযায়ী নাম ডাকের মাধ্যমে বিতরণ করছেন বিআরটিএর নাম্বার প্লেট বিতরণকারী সাজ্জাত হোসেন ।

নাম্বার প্লেট বিতরণ করা অবস্থায় সাজ্জাত হোসেন ক্লান্ত হলে মুকুল হোসেন বিতরণ করা শুরু করেন। কিন্তু সাংবাদিক পতœীর নাম ধরে ডাকলেন না। নিরুপায় হয়ে সাংবাদিক পতœী সাজ্জাত হোসেন কে ধরলে পুনরায় সে ইন্টারনেট চালু করে বললেন বিআরটিএর নেট কাজ করছে না। বারবার তাগিদ দিলে ইন্টারনেট চালু হলো সে যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন একনলেজমেন্ট স্লিপের উপর লিখলো ২০৩৮৮৪ তারপর বক্সে দেখলেন নাম্বার প্লেট নাই। তিনি পরবর্তী কার্য দিবসে আসতে বললেন। বারবার চাপ দিলে তিনি মুকুল হোসেন কে বললেন, কিছু টাকা নিয়ে নাম্বার প্লেটটা দিয়ে দে। তখন মুকুল বললো এর পূর্বে কি নাম্বার প্লেটের জন্য কাগজ জমা দিয়েছিলেন। উত্তরে সাংবাদিক পতœী বললেন হ্যা। তখন বলা হয়েছিল মোবাইল নাম্বারে ম্যাসেস পাওয়ার পর আসেন। এরপর তারা বললেন, আজকে সময় নাই।

সবাই চলে গেছে, আপনার মোবাইল নাম্বারটা বলেন। তিনি লিখে নিয়ে বললেন, আমরা যখন নাম্বাার প্লেট নেয়ার জন্য আপনাকে মোবাইলে ম্যাসেস নয় কল দিয়ে আসতে বলবো তখনই আসবেন। তার আগে আসবেন না। অগ্যতা নিরব প্রত্যারণার স্বীকার হয়ে নাম্বার প্লেট ছাড়াই বাড়ী ফিরতে বাধ্য হলেন। মটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে আসা অনেকেই বলাবলি করছেন, সাংবাদিক পতœীর নাম্বার প্লেট নিতে যদি এই অবস্থা হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হবে ? একবার ভাবতে পারেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী দূর্ণীতি বন্ধ করার জন্য বলছেন। সেখানে বিআরটিএ নীলফামারীর কার্যক্রম দেখে উল্টো যতই দিন যাচ্ছে, ক্রমশই মুখোমুখি হচ্ছি আরো বেশি হতাশার। সবখানেই হতাশা আর প্রত্যারণা ।

প্রত্যারণার ভাষা ছাড়া আর অন্য কোন ভাষা নেই যেন। বিআরটিএ নীলফামারী অফিসে মটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত প্রতিটি ধাপে প্রত্যারণার নিত্য নতুন কৌশল্। আপনি বুঝতেই পারছেন না, আটকে যাচ্ছেন কটিন ফাঁদে। বোঝাবার কেউ নেই, আপনি কাকে বিশ্বাস করবেন? এ এক কঠিন দুঃসময়! এ দুঃসময়ে ভাল থাকবেন কি করে ?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে