0f9969b7651bc7ad93a0b39e98cbb236-580d35c8773ae

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী সদর উপজেলায় আমন ক্ষেতে পাতামোড়া ও মাজরা পোকার ব্যাপক আক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের অধিকাংশ জমিতে এর প্রার্দুভাব ছড়িয়ে পড়েছে। পোকার আক্রমণে ফসলহানীর আশঙ্কায় কৃষকরা এখন দিশেহারা। বাজারজাতকৃত কীটনাশক প্রয়োগ করেও আশাপ্রদ ফল পাচ্ছেনা চাষিরা।

কৃষকরা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের পরপরই এই পোকার আক্রমন দেখা দেয়। সঠিক সময়ে কীটনাশক দিয়ে কেউ কেউ ফসল রক্ষা করতে পারলেও অনেকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের মতে, এই পোকা কোনও ফসলে আক্রমন করলে দ্রুত তা পুরো ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো ফসল নষ্ট করে দেয়। আর আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিলেও ফলন কমে যায়। তাদের অভিযোগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিক সময়ে তাদের কোনও পরামর্শ দেয় না। এ কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তাদের দেরি হয়ে যায়।

গতকাল সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে কীটনাশক প্রযোগ করেও তারা কাঙ্খিত ফল পাচ্ছেন না। “ক্লোরানট্রনিলিপ্রোল” ও “ল্যাম্বা সাইহেলোথ্রিন” জাতের কীট নাশক ৩/৪ দিন প্রয়োগ করতে হয়। হাজী পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ বাবুল মিয়া জানান, পাতা মোড়ানো পোকা নিধনে প্রতি কুড়া (৬৬ শতাংশ) জমিতে প্রতি বারে ৫০০ টাকার কীটনাশক দিতে হয়। তার ৩ কুড়া জমিতে ৩ বার কীটনাশক দিতে প্রায় ৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। কৃক্ষক বাবুল জানান, আমন আবাদ, কীটনাশক ও ধান কাটা নিয়ে প্রতি কুড়া জমিতে তার ৭/৮ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হবে। উৎপাদন খরচ দিয়ে ধানে কত টাকা আসবে তা নিয়ে চিন্তিত। গিলাবাদ গ্রামের মোঃ মধু মোল্লা জানান, পোকার আক্রমণে তার ৫ কুড়া জমির চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে