জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে ওষুধের গুনগত মান বজায় রাখা ও মান নিয়ন্ত্রণে সরকার সবসময় সচেতন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, নকল ও ভেজাল নিম্মমানের ওষুধ বিক্রয়, অনিবন্ধিত ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোরতা অবলম্বন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোবাইল কোর্টে দুই হাজার ৩৬টি মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই কোট ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার তিনশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

রোববার (৫ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৯১টি ও ড্রাগ কোর্টে ২১টি মামলা করা হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৪৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে- হোমিওপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান১৭টি, হারবাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চারটি, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পাঁচটি, ইউনানী ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছয়টি, আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ১৪টি। এছাড়া ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবহির্ভূত ও অন্যান্য অনিয়মের কারণে ১৩৬টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিদ্যমান ওষুধ আইনকে আরও যুগোপযোগী ও কঠোর শাস্তির বিধান রেখে প্রস্তাবিত ওষুধ আইন-২০২১ অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে