দেশে ৬৭ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে বেড়েছে এই রোগে আক্রান্তের হার। সোমবার (৬ জুন) রাজধানীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানসের (বিসিপিএস) সুবর্ণজয়ন্তী এবং সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। দেশে ক্যানসার, কিডনি ও ডায়াবেটিস রোগে ৬৭ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর কারণ আমাদের জীবনের অভ্যাসের পরিবর্তন। খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রসার, বায়ু এবং ধুলা দূষণ ও মানসিক চাপ।

এসব রোগের চিকিৎসায় আট বিভাগে হাসপাতাল করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতি জেলায় ১০ বেডের ডায়ালাইসিস সেন্টার ও আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলমান রয়েছে এর কার্যক্রম। বিশেষায়িত হাসপাতালে যখন কার্যক্রম শুরু হবে তখন চিকিৎসক প্রয়োজন হবে। আমি আশা করি বিসিপিএস থেকে প্রশিক্ষিত ডাক্তাররাই এখানে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবেন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, পরিবেশকে দূষণমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ ও টিকা দান কর্মসূচি সফলতার জন্য সাউথ এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ। আর বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। দেশে এরই মধ্যে প্রায় ২৬ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এখন শূন্যের কোটায় রয়েছে করোনা। সংক্রমণ খুবই সামান্য।

চিকিৎসা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাহবাগ হোটেলকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) রূপান্তরিত করেন বঙ্গবন্ধু। এছাড়া শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ চালু করেন। মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। তিনিই বিসিপিএস প্রতিষ্ঠা করেন।

বিসিপিএসের উন্নয়নে প্রায়ই ২১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে