কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: ২৪ শে ফেব্রæয়ারী বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের পরিবেশনার মাধ্যমে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো দুই বাংলার কবিতা উৎসব।

এতে অংশগ্রহণ করেন ভারত থেকে আসা ৩০ জন বিশিষ্ট কবি ও বাংলাদেশের ২৫ জন স্বনামধন্য লেখক ও কবি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন নতুন তারা সমাজ কল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থা।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন নীলফামারীর কৃতি সন্তান কবি ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. জাহাঙ্গীর আলম রুস্তুম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন বরেণ্য কবি ও পত্রিকার সম্পাদকগণ উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাড. বাবুল হাওলাদার। প্রধান অতিথি ফিতা কেটে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন বাংলা ভাষা হইল একটি ঐতিহ্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী ভাষা। এ ভাষাকে সংরক্ষণ করতে ও উপরে তুলে ধরার দাযীত্ব আমাদেরই। আজ বাংলা ভাষা থেকে যাত্রা, জারি, সারি আর ভাটিয়ালী গান হারিয়েছে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে কালজয়ী বাংলা প্রবাদ বাক্য ও খনার বচন।

তাই তিনি কবি ও লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্লাটফর্মে তুলে ধরেন- বাংলার ঐতিহ্য ও আত্মকথার কাহিনী। বাংলা ভাষা যেন বেঁচে থাকে সকল ভাষার রানী হয়ে যুগ যুগ ধরে। অনুষ্ঠানটি কবিতা, আবৃতি, নাচ ও গানে এক আনন্দময় মুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল।

বাংলা ভাষায় বিশেষ অবদান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের বেশ কয়েকজন কবির হাতে তুলে দেয়া হয়”মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক ২০২৩”। পরে সভাপতির বক্তৃতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে