সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকারঃজেলার তাড়াশ-রাণী হাট আঞ্চলিক সড়কের পুরোটায় কার্পেট উঠে বেহাল দশা। সদর থেকে রাণী হাট পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পাকা সড়কটি জুরে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় শতাধিক গর্ত। ফলে এলাকার কৃষি ফসলাদি পরিবহন ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত তাড়াশ-রাণী হাট সড়ক দিয়ে যান চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এদিকে ওই সড়কেরই বেরখালি নামক স্থানে একটি ব্রিজের ছাদ ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের তাড়াশ-রাণীর হাট সড়কটির তাড়াশ ওয়াপদা বাঁধের উত্তর দিক থেকে রাণীর হাট বাজার পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে পাকা কার্পেট ভেঙ্গে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়ক জুরে মাঝে মধ্যে ছোট-বড় শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে এসব গর্তে দিনের পর দিন হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকছে। ফলে সব রকমের যানবহন চলাচল করছে ধীর গতিতে। বগুড়া ও সিংড়া হয়ে নাটোর পর্যন্ত সংযোগ থাকার জন্য দীর্ঘ রুটের সড়কটির এলাকাভিত্তিক অনেক গুরুত্ব রয়েছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টাই এই পথ দিয়ে বিভিন্ন যান্ত্রিকযানসমূহ চলাচল করে থাকে।

গ্রামীণ এ সড়কটির বেহাল দশার কারণে আসানবাড়ি, বিনসাড়া, কাজিপুর, মালশিন, বলভা, পেঙ্গুয়ারী, শিবপুর, বৌদ্দনাথপুর, বস্তুল, রানীদিঘী, গুল্টা, তালম, চৌড়া, মানিকচাপর, গোন্তা, রানীহাটসহ আশ-পাশের কমপক্ষে পঁচিশ-ত্রিশ গ্রামের লাখো মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। এদিকে সড়কেরই মাঝামাঝি বেরখালি নামক স্থানের একটি ব্রিজের ছাদের বেশ খানিকটা ভেঙে এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নিরুপায় হয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবহন ও জনসাধারণ ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাচল করছে। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুহেনা মোস্তফা কামাল জানান, সড়কটি করার জন্য পিএমপিতে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বড় গর্তগুলো ইট দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। শিগগিরই ব্রিজটির ছাদের ভাঙা অংশ মেরামত করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে