সিরাজগঞ্জথেকে,মারুফ সরকার:সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, বিদ্যুৎশাহী ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ক্লাস বর্জন করে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের সামনে টায়ারে আগুন দিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর রহমান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ফুবল দল উপজেলা গ্রীস্মকালীন আন্তক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে জুলাই মাসের ২৭ তারিখে পৌষার আদিবাসী বিদ্যালয় মাঠে অংশগ্রহন করেন। সেই মাঠে ফুটবল খেলায় বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর থেকে স্কুল কমিটি এবং শিক্ষদের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জেলা পর্যায়ে খেলায় অংশগ্রহণ করা নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের প্রথমে বলা হয়, জেলা পর্যায়ে খেলায় অংশগ্রহনের তারিখ নির্ধারণ হলে তাদের জানানো হবে।

সর্বশেষ সোমবার আলোচনা হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকবুল হক তাদের বলেন, ১০ হাজার টাকা দিলে তারা খেলায় অংশ নিতে পারবেন। এ ভাবে তাদের সাথে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, জেলা পর্যায়ে তাদের সেই কাঙ্খিত ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করবেনা মর্মে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. শাজাহান সরকার, বিদ্যুৎশাহী মো. ইসমাইল হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. মকবুল হোসেন মিলে কোন এক পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা এও জানান, প্রতিবছর বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী গ্রীস্মকালীন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোতিার জন্য স্কুল ফান্ডে চাঁদা দিয়ে থাকেন। সেই চাঁদার অর্থ তারা তিনজন মিলে আত্মসাত করে নেয়।

সরকারি নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় থেকে কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাইলে তাদের বলা হয় ফান্ডে টাকা নেই।স্কুলের সভাপতি মো. শাজাহান সরকার এবং বিদ্যুৎশাহী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এটা তাদের স্কুলের ব্যাপার। বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কিছুই করতে পারবে না। দুই-চার জন শিক্ষার্থীর আন্দোলনে তার কিছুই যায়-আসে না। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন বলেন, গ্রীস্মকালীন আন্তক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিনসাড়া উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহন না করে খুবই অন্যায় কাজ করেছেন। শিগগিরই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর রহমান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পোঁছানোর পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে