ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশেষ সিনেট অধিবেশনে মনোনীত তিন সদস্যের ভিসি প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে গত ২৯ জুলাইয়ের সিনেট অধিবেশন নিয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের বর্তমান মেয়াদ আগামী ২৪ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। ঢাবি’র পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু ও এডভোকেট এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন।গত ২৯ জুলাই ঢাবি’র সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে ২৮তম উপাচার্য নির্বাচনের জন্য একটি প্যানেলের অনুমোদন দেয়। তারা হলেন বর্তমান উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও নীল দলের আহ্বায়ক এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আজিজ।

গত ২৬ জুলাই ঢাবি’র ভিসি প্যানেল মনোয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ অধিনবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগ বেঞ্চে প্রেরণ করা হয়। পরে ধার্য দিনেই সিনেট অধিবেশনে তিন সদস্যর প্যানেল গঠিত হয়।এর আগে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্যানেল মনোয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ অধিনবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ আদেশ দেয়।

গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য, ২৯ জুলাই বিকাল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহবান করেছেন। উক্ত বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করতে হবে। এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, প্রো-ভিসি (একাডেমিক), প্রো-ভিসি (প্রসাশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও শিক্ষা সচিবকে রেসপনডেন্ট (প্রতিপক্ষ) করা হয়।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে