ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি বছরের এপ্রিল থেকে দেখা দেয়া ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনও চলমান। গত জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এটি মহামারী রূপ ধারণ করে।

এই সময়ে সারা দেশে কয়েক লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেন, যার মধ্যে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ১৩৩ জন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণত নভেম্বর থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকার কথা নয়। তবে এ বছর ডিসেম্বরেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০-৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর ডেঙ্গু মৌসুমে এ রোগ আরও ভয়াবহ হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপরেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৭৪২ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ১৭৭ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩০১ জন। ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৯২ জন এবং অন্য বিভাগে ১০৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টায় থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৭ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ৩৭ জন, ঢাকার বাইরে ৩০ জন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যানুসারে, এ বছর ডেঙ্গু সন্দেহে ২৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২১১ জনের মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে ১৩৩ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম) ডা. আয়েশা আক্তার জানান, নিশ্চিত ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু ঘটেছে এমন ৭৪ জন মারা গেছে আগস্টে, জুলাইয়ে ৩৫ জন, জুনে ৬ জন, এপ্রিলে ২, সেপ্টেম্বরে ১৩ জন এবং অক্টোবরে ৩ জন।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে