bycycle

বিডি নীয়ালা নিউজ(৩১জানুয়ারি১৬)-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্কঃ  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা তৈরী করলো বাংলাদেশের প্রথম সোলার সাইকেল।

দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৩ ছাত্র তৈরী করেছে সোলার বাইসাইকেল। সৌরবিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয় এই বাইসাইকেল। দেখতে ও শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এমনটি করেছেন তারা। এ পদ্ধতিতে তৈরী এ ধরনের দ্রুত গতিসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী সাইকেল বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এমন দাবি তাদের। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘‘সোলার সাইকেল’’,
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের স্কিল প্রজেক্ট-এ এই প্রথম সোলার সাইকেল তৈরী করেছে ইন্সটিটিউটের পাওয়ার টেকনোলজির ৬ষ্ঠ পর্বের ২য় শিফট এর ছাত্র শহরের বাসুনিয়াপট্টিস্থ মাধব মল্লিক এর পুত্র বিজয় মল্লিক (১৮), মাশিমপুরের আব্দুস সামাদের পত্র সাবিবর হোসেন ও নীলফামারী জেলার বেড়াকুঠি’র হেমন্ত কুমার রায় এর পুত্র শান্ত কুমার রায় (১৮),এদেরমধ্যে বিজয়ের বাসা দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি। তার বাবার নাম মাধব মল্লিক। অপরদিকে সাব্বির জেলার মাশিমপুরের আব্দুস সামাদের ছেলে এবং শান্ত কুমার রায় নীলফামারী জেলার বেড়াকুঠি’র হেমন্ত কুমার রায়ের ছেলে।
তারা জানান, এই সাইকেলে কোনো চার্জের খরচ নেই। দিনের বেলায় এটি সুর্যের আলোয় চার্জ হয় এবং যদি রাতে চালানো যায় তাহলে রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের হেড লাইটের আলোতেও এটি চার্জ হবে। আর ১ ঘন্টায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার চলে।
যদি চলতে চলতে কখনো চার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে কী হবে? এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, স্বাভাবিক সাইকেল যেভাবে প্যাডেল ব্যবহার করে চালাতে হয়, ঠিক সেভাবেই চলাতে হবে। তাতে অটোমেটিক বেটারিগুলো চার্জ হতে থাকবে। আর এই সাইকেল বেশি ভারিও নয়,
এর সুবিধা হল এটি সাধারণ সাইকেলের থেকে অনেক দ্রুত গতি সম্পন্ন। মটর লাগানো, তবুও বিদ্যুত খরচ করে চার্জ দিতে হয় না। আর তেল খরচ তো নেই,
সোলার সাইকেল খরচের ব্যাপারে তারা বলেন, শহরেও এটির চাহিদা আছে অনেক। সাইকেলটি শহরে বের করলেই সবাই কেমন যেন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বর্তমানে মোটরসাইকেলের পাশাপাশি আরেকটি বৈদ্যুতিক চার্জ সিস্টেম মোটরসাইকেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার দামও অনেক বেশি। আর এ ধরনের একটি সোলার সাইকেল তৈরী করতে প্রয়োজন একটি যে কোনো সাইকেল, ২০ ওয়াটের ১টি সোলার প্যানেল, ২৪ ভোল্টের ২টি বেটারি, পিকআপ সেট, ১টি ডিসি মটর ও ১টি আইপিএস। এতে খুব জোর হলে খরচ হয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
তারা বলেন, আমরা মনে করি- এটি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক। তাই সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেলে আমরা এটাকে বাজারজাত করতে পারবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে