ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য পানি সরবরাহ সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সুপেয় পানি সরবরাহ ও সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সাফল্য অর্জনে বাস্তবমুখী বিভিন্ন কৌশলপত্র ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। আমাদের ধারাবাহিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনিরাপদ পানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শিশু মৃত্যুহারও হ্রাস পেয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে একথা বলেন।

পানি সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে বিশ্বের ২৮টি দেশের অংশগ্রহণে আগামীকাল থেকে ঢাকায় এই ‘ঢাকা পানি সম্মেলন শুরু হচ্ছে।

শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলন এসডিজি-৬ বাস্তবায়নে পানি বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল (এইচএলপিডব্লিউ) গৃহীত লক্ষ্যসমূহ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে।

তিনি বলেন, বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ ও বিনিময়ের গৃহীত নীতি অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যেকোনো উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পানি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পানি সংকট নিরসনের লক্ষ্যে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে বিপন্ন এলাকায় পানি সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধে পানির সুষম বণ্টন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম একটি হলো ‘পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণকে সমর্থন ও সুদৃঢ়করণ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পানির সুষম ব্যবহার, বণ্টন ও অপচয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

তিনি বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানন।

ন/য়/দ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে