ডেস্ক রিপোট:  জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী টেকসই উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনী কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের সমন্বয় ঘটাতে হবে। পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।এজন্য সরকার এবং বেসরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে কাজ করা জরুরী। মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে ‘ইইউ দিগন্ত ২০২০:বাংলাদেশের জন্য সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এ কথা বলেন।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সেমিনারের আয়োজন করে।এমসিসিআইয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন,ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন পিয়েরে মাইদু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।‘দিগন্ত ২০২০’ হচ্ছে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮০ বিলিয়ন ইউরো তহবিলে গঠিত কর্মসূচি।এটি বিশ্বের গবেষণা সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় কর্মসূচি।এই কর্মসূচির আওতায় ইইউ সদস্য দেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের গবেষকরা গবেষণা ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন,দিগন্ত ২০২০ কর্মসূচি ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে যা ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে।এখনও আমাদের এই কর্মসূচির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন,তথ্য প্রযুক্তি,পরিবেশ সম্মত জ্বালানী,ঔষধ শিল্প,সমুদ্র অর্থনীতি এবং সফটওয়ার শিল্প খাতে যৌথ গবেষণা কর্মকান্ড করার সুযোগ রয়েছে।তিনি এই সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশের গবেষক ও উদ্ভাবকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। স্পিকার বলেন, যৌথ উদ্যোগের গবেষণা কর্ম একটি নতুন পদক্ষেপ যা থেকে অনেক শেখার সুযোগ রয়েছে।তিনি বলেন,জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় লবনাক্ততার প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিখাতে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন গবেষণা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন,দিগন্ত ২০২০ আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে,কেননা এই কর্মসূচির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে স¦াস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে গবেষণা করার সুযোগ আছে। তিনি বলেন,আমাদের এমন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে,যা সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে।দিগন্ত ২০২০ কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশের গবেষকরা কিভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে,সে বিষয়ে আরো মনোযোগ বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইদু বলেন, দিগন্ত ২০২০ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের গবেষকরা যৌথ গবেষণা কর্মে আগ্রহী হবেন।এতে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের সব মানুষ উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বি/এস/এস/এস

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে